বড়পুকুরিয়ায়... সাংবাদিক
প্রবেশ নিষিদ্ধ !
বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে
দেশের একমাত্র কয়লা ভিত্তিক দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। অনিয়ম আর
দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে ২৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। সেই সঙ্গে শ্রমিক
কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এর ভবিষ্যৎ। যান্ত্রিক ক্রুটির
কারণে প্রায় বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল থেকে
বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শ্রমিকরা। সর্বসাধারণ অবাধে
যাতায়াত করলেও তাদের এই আন্দোলন আড়াল করতে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে সাংবাদিক
প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্র্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ আন্দোলনরত শ্রমিকদের।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া ২৫০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রেটির
কার্যক্রম শুরু হয় ২০০২ সালে। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৬ সালে জুন মাসে বিদ্যুৎ উৎপাদন
শুরু করে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংযোগ হয় এ
কেন্দ্রটি। প্রতিষ্ঠানে মালামাল ক্রয়ের জন্য লোক দেখিয়ে দরপত্র আহবান করা হলেও
নিজেদের পছন্দ মতো ঠিকাদার নিয়োগ করে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে
নিন্মমানের মালমাল সরবরাহ করায় প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ প্লান্ট। অন্যদিকে
কেন্দ্রে অকেজো মালামাল বিক্রির ক্ষেত্রেও ঘটছে একই ঘটনা। এছাড়াও মালমাল চুরির
ঘটনাতো আছেই। দেশের একমাত্র কয়লা ভিত্তিক এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ
উত্তরাঞ্চলে সেচ সুবিধাসহ বিভিন্ন সুফল বয়ে আনলেও এখন তা বিপর্য়য়ের মুখোমুখি।
দুর্নীতি আর অনিয়মের রাহুগ্রাসে নিমজ্জিত এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ক্যাজুয়েল
শ্রমিক-কর্মচারীরা ৬ দিন ধরে অব্যাহত রেখেছে কর্মবিরতি। গতকাল বুধবার তারা ৮ ঘন্টা
কর্ম বিরতি পালন সহ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করে ২৪৩
জন শ্রমিক-কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে করছে এ আন্দোলন। সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট,
কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে আসছে
তারা। দীর্ঘ দিন ধরে তারা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। গত কয়েক দিন ধরে তাপ বিদ্যুৎ
কেন্দের শ্রমিক আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিমুখ হয়ে ফিরে এসেছেন
সাংবাদিকরা। কোন সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেয়নি কেন্দ্রে। অথচ সর্ব সাধারণ নির্বিঘেœ
প্রবেশ করছে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে। এ ব্যাপারে
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মঞ্জুরুল হকের সথে মুঠোফোনে কথা বলা হলে
তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানান। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া তাপ
বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ। আগে তার অনুমতি নিয়ে আসেন তার পর
প্রবেশ করেন কেন্দ্রে। বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাজুয়েল
শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন ্এর সভাপতি নুরুজ্জামানের অভিযোগ, এক সাথে পরীক্ষা দেয়া সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও মাষ্টাররা স্থায়ী নিয়োগ পেলেও দীর্ঘ
১১ মাস ধরে তাদের স্থায়ী নিয়োগ প্রদানে টালবাহানা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাদের
দাবী মানা না হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এমন কি রেল ও সড়ক পথ
অবরোধ করে কেন্দ্রটি বন্ধ করে দিতেও তারা বাধ্য হবেন।
courtesy: http://www.mzamin.com/details.php?nid=MTIwMjQ=&ty=MA==&s=MzY=&c=MQ==
courtesy: http://www.mzamin.com/details.php?nid=MTIwMjQ=&ty=MA==&s=MzY=&c=MQ==

0 comments:
Post a Comment