সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এমনিতেই যানজট বেড়ে যায়। দু:সহ এই যানজট দূর করতে প্রধান দায়িত্ব থাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ওপর। কিন্তু এই ট্রাফিক পুলিশের কারণেই উল্টো যানজট ভয়াবহ আকার নেয়। যার প্রমাণ ধরা পড়েছে বাংলানিউজের ক্যামেরায়। আর কে না জানে , “একটা ছবি হাজার শব্দের চেয়ে বেশি কথা বলে (আ পিকচার ইজ মোর ইলোকুয়েন্ট দ্যান থাউজ্যান্ড ওয়ার্ডস)।”বৃহস্পতিবার মহাখালী রেলক্রসিং-এ ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। বাসস্ট্যান্ডের দিকে ছুটতে থাকে মানুষ। ফলে এই সময়টিতে এখানে যানজট আরও অসহনীয় রূপ নেয়। কিন্তু কারণটি কি শুধুই মানুষের ভিড়? না, কারণ পুলিশ; হ্যাঁ, পুলিশ।
মহাখালী রেলক্রসিংয়ের উপরের ফ্লাইওভার থেকে যেসব দৃশ্য বাংলানিউজের ক্যামেরাবন্দি করা হয় তা থেকেই জানা যাবে যানজটের প্রধান কারণ ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি।
প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থেকে দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করা হয়। দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যটি চাঁদা তুলছেন, অদূরে দাঁড়িয়ে থেকে তা তদারকি করছেন একজন সার্জেন্ট। চাঁদাবাজির মূল টার্গেট ম্যাক্সি। প্রতিটি গাড়ি অবৈধভাবে ঘুরছে রেলক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে। আর ট্রাফিক পুলিশের হাতে জমা পড়ছে টাকা। দূর থেকে দেখে ১০ টাকাই মনে হলো। তবে তা একটি নোট নাকি একাধিক তা বোঝা গেলো না। এই আক্রার বাজারে শ্রেফ ১০ টাকায় ছাড় পাবে ম্যাক্সিগুলো সেটাও অসম্ভব!ম্যাক্সির সব চালকই যে ‘সুবোধ বালক’ তাও তো নয়। কেউ কেউ টাকা না দেওয়ার জন্য জ্যাঠামো করে। দেনদরবার করে। এ অবস্থায় দরকষাকষি করতে হয়। তাতে সময় কেটে যায়। সঙ্গে ম্যাক্সির পেছনে জমা পড়ে আরো ম্যাক্সি, তার পরে বাস, সিএনজি অটোরিক্সা, প্রাইভেট কার। ফলে যানজট দীর্ঘ হয়। এক পর্যায়ে রফা হয়। আবার গাড়ি চলে আবার আসে ম্যাক্সি। অবৈধ পথে ঘুরে যাওয়ার পাঁয়তারা করে। পুলিশের হাতে টাকা গুঁজে দিলে নিমেষেই কেল্লা ফতে। এভাবেই চলতে থাকে দিনভর।
দেশজুড়ে চলছে দুর্নীতি দমন সপ্তাহ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে পুলিশেরও রয়েছে কর্মসূচি। কিন্তু দুর্নীতি দমনের এই সপ্তাহে প্রকাশ্যেই এভাবে চাঁদা নিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। কার সাধ্যি ওদের এই অন্যায়ে বাধ সাধে! বিষয়টি কেবল বাংলানিউজের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাই নয়, শত শত পথচারীর চোখে সামনেই ঘটেছে এমনটি। কিন্তু সবাই নির্বিকার। কারণ একটাই... ওরা যে আইনের লোক!!
courtesy source: http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=ff1a4f97d6927a2cceacc68d02b7d78d&nttl=29032012100199

0 comments:
Post a Comment