March 1, 2012

Anti Courruption Commission Inteligence set to go - দুদক গোয়েন্দা মাঠে নামছে

দুর্নীতি তদন্তে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা ইউনিট এতদিন দুদকের এ ধরনের গোয়েন্দা ইউনিট ছিল না
বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে বিষয়টি স্বীকার করে দুদক কমিশনার মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু বলেন, “এ গোয়েন্দা ইউনিটটি যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ চিহ্নিত কিছু প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে
তাদের সংগ্রহ করা তথ্য দিয়ে দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলেন তিনি
গোয়েন্দা ইউনিট গঠনের বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন রোববার জারি করা হয়এতে বলা হয়, “দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্ত গতানুগতিকভাবে সম্পন্ন করায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আশানুরূপ সুফল পাওয়া যায় না বা মান সম্পন্ন হয় না
দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে প্রায়শই গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হওয়ায় বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত অনুবিভাগের অধীনে একটি গোয়েন্দা ইউনিট গঠন করা হলো
দুদকের উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী ও সহকারী পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞাকে এ গোয়েন্দা ইউনিটটি পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে ওইদিনই আলাদা একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে
গোয়েন্দা ইউনিটের কর্মকর্তাদের কাজের পরিধি হিসেবে ওই আদেশে বলা হয়েছে, মহাপরিচালকের (বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত) অধীনে এ ইউনিটের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন তবে তাদের কার্যক্রম বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের পূর্ব অনুমতি নিতে হবে। পাশাপাশি যেসব তথ্য তারা সংগ্রহ করবেন তা চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের জানাতে হবে
এ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিয়মিত বেতনের অতিরিক্ত আরো ৫ হাজার টাকা পাবেন
গোয়েন্দা কার্যক্রমের দায়িত্ব নিয়ে মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অনেক সময়ই তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করবো গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে সেসব প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করতে
কাজটি কঠিন ও ঝুকিপূর্ণ। মন্তব্য করেন তিনিএ ধরণের কাজে যে পরিমাণ লোকবল প্রয়োজন তা দুদকের আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সাহাবুদ্দিন বলেন, “আপাতত যে কয়েকজন প্রয়োজন তা পাওয়া যাবে তবে পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে এছাড়া অন্য সংস্থা থেকে লোকবল সংগ্রহ করার চিন্তা-ভাবনা আমরা করছি
বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুদক সড়ক ও জনপদ, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে
এ কাজে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে আনা লোকবল দিয়ে গঠন করা হয়েছিল টাস্কফোর্স।
ওইসব খাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। তবে পরে দুদকের এ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়
Courtesy Source: http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=187358&cid=2&aoth=1

0 comments:

Post a Comment