শুনানির আগের দিন বিবাদীর বাড়িতে বিচারকের ‘অবসর
যাপন’
বোরহানউদ্দিন
(ভোলা), ১৬ জুন:
জমি দখলের অভিযোগে বেশ কিছু মামলা বিচারাধীন আছে যার
বিরুদ্ধে, সেই ব্যক্তির বাড়িতে
দিনব্যাপী ‘অবসর যাপন’ করলেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকসহ জেলার
অপর দুই বিচারিক হাকিম। শনিবার ভোলা’র
বোরহানউদ্দিনে এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘটনা জানাজানি হলে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভোলার যুগ্ম জেলা জজ হাসান আরিফ বললেন, আমি চুরি করতে আসিনি, আমি আমার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে
এসেছি, আমার আদালতে এদের
মামলা আছে তা জানিনা।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের সামসুল হক হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে বেশ কিছু মামলা বিচারাধীন আছে জেলা জজ আদালতের বিভিন্ন বিচারকের কাছে। আছে যুগ্ম জেলা জজ হাসান আরিফের আদালতেও। শনিবার দুপুরে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট বিচারক জেলা জজ আদালতের গাড়ি নিয়ে আরো দুই বিচারিক হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে মামলাগুলোর বিবাদী সামসুল হক হাওলাদারের বাড়িতে এসেছেন সকালে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সামসুল হক-এর বাড়িতে ‘জজ কোর্ট, ভোলা’ লেখা সাদা রঙের মাইক্রোবাস (চ-৫১-০০০১) পার্ক করা। বাড়িতে খাসি জবাইকরে ভুড়িভোজের আয়োজন করা হচ্ছে। বাড়ির পুকুর পাড়ে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছেন হাসান আরিফসহ বিচারকরা। এলাকায় মামলাবাজ বলে পরিচিত ও জেলা আদালতে বিভিন্ন মামলার পক্ষ হিসেবে আছেন এমন কয়েকজনকেও এসময় ওই বাড়িতে দেখা যায়। এ সময় ছবি তুলতে গেলে হাসান আরিফ উত্তেজিতভাবে বাধা দেন।
নিজের আদালতে বিচারাধীন মামলা’র বিবাদীর বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসলেন কিভাবে? এটা কি অবিচারিক আচরণ নয়? জাতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও অনলাইনে’র স্থানীয় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান আরিফ বলেন, আমি চুরি করতে আসিনি, আমি আমার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি, আমার আদালতে এদের মামলা আছে তা জানিনা।
এ সময় সংবাদ কর্মীরা তার অনুমতি চাইতে গেলে তিনি অপারগতা জানান। তবে তিনি বলেন, তার বন্ধু সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মীর্জা আল-মাহামুদ হচ্ছেন বিবাদী সামসুল হক হাওলাদারের নাতনীর জামাতা । সেই সূত্রেই ‘অবসর যাপন’ করতে আসা।
পরে খেয়েদেয়ে বিকালে তারা ওই বাড়ি ত্যাগ করেন, যাওয়ার সময় ওই বাড়ি জজ আদালতের গাড়িতে প্রচুর মাছ নিয়ে যেতে দেখা যায়।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের সামসুল হক হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে বেশ কিছু মামলা বিচারাধীন আছে জেলা জজ আদালতের বিভিন্ন বিচারকের কাছে। আছে যুগ্ম জেলা জজ হাসান আরিফের আদালতেও। শনিবার দুপুরে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট বিচারক জেলা জজ আদালতের গাড়ি নিয়ে আরো দুই বিচারিক হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে মামলাগুলোর বিবাদী সামসুল হক হাওলাদারের বাড়িতে এসেছেন সকালে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সামসুল হক-এর বাড়িতে ‘জজ কোর্ট, ভোলা’ লেখা সাদা রঙের মাইক্রোবাস (চ-৫১-০০০১) পার্ক করা। বাড়িতে খাসি জবাইকরে ভুড়িভোজের আয়োজন করা হচ্ছে। বাড়ির পুকুর পাড়ে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছেন হাসান আরিফসহ বিচারকরা। এলাকায় মামলাবাজ বলে পরিচিত ও জেলা আদালতে বিভিন্ন মামলার পক্ষ হিসেবে আছেন এমন কয়েকজনকেও এসময় ওই বাড়িতে দেখা যায়। এ সময় ছবি তুলতে গেলে হাসান আরিফ উত্তেজিতভাবে বাধা দেন।
নিজের আদালতে বিচারাধীন মামলা’র বিবাদীর বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসলেন কিভাবে? এটা কি অবিচারিক আচরণ নয়? জাতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও অনলাইনে’র স্থানীয় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান আরিফ বলেন, আমি চুরি করতে আসিনি, আমি আমার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি, আমার আদালতে এদের মামলা আছে তা জানিনা।
এ সময় সংবাদ কর্মীরা তার অনুমতি চাইতে গেলে তিনি অপারগতা জানান। তবে তিনি বলেন, তার বন্ধু সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মীর্জা আল-মাহামুদ হচ্ছেন বিবাদী সামসুল হক হাওলাদারের নাতনীর জামাতা । সেই সূত্রেই ‘অবসর যাপন’ করতে আসা।
পরে খেয়েদেয়ে বিকালে তারা ওই বাড়ি ত্যাগ করেন, যাওয়ার সময় ওই বাড়ি জজ আদালতের গাড়িতে প্রচুর মাছ নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এদিকে
জমি থেকে বেদখল হয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা এ ঘটনায় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ ও আশঙ্কা
প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এলাকায় প্রভাবশালী হওয়া এবং বিচারকের ‘ক্রুদ্ধ’ হবার আশঙ্কায় তারা ভয়ে আছেন। একটি মামলার বাদী ইমদাদুল হক ও
মহিউদ্দিন হাওলাদার জানালেন, সামসুল হক হাওলাদার গংদের সাথে জেলা জজ আদালতে দুটি মামলা (২২/২০০৭ ও
২/২০১২) বিচারাধীন
আছে। কাল রোববার একটি মামলার শুনানির তারিখ।
Source: www.barta24.net/?view=details&data=Forum&news_type_id=1&menu_id=80&news_id=50783

0 comments:
Post a Comment