সরোজ মেহেদী: যাত্রাবাড়ী থানার দুই এএসআই’র বিরুদ্ধে ঘুষ আদায়ের জন্য এক প্রাইভেট কার
চালককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রাবাড়ী থানার দুই
এএসআই আবদুর রহমান ও রিয়াজউদ্দীন দয়াগঞ্জ রেললাইন এলাকায় অভিযান চালায়। এ
সময় তারা ৪ গাঁজাসেবীর পাশাপাশি পথচারী প্রাইভেট কার চালক আজমীরকেও আটক
করে। একপর্যায়ে এক গাঁজাসেবীকে ছেড়ে দেয়া হলেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়
আজমীরকে। গতকাল আজমীরের খোঁজে তার বন্ধু ইব্রাহিম থানায় গেলে তার পকেট থেকে
এক হাজার টাকা রেখে তাকেও নির্যাতন করে এএসআই আবদুর রহমান ও রিয়াজ। আজমীর
জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দয়াগঞ্জ রেললাইন এলাকায় এএসআই আবদুর রহমান ও রিয়াজ
অভিযান চালিয়ে চার গাঁজা সেবনকারীকে আটক করে। এ সময় একই পথ দিয়ে যাওয়ার
সময় আটক হওয়া মাদক বিক্রেতা ফকির চাঁনকে ছেড়ে দিয়ে আজমীরকে আটক করে পুলিশ।
পরে থানা থেকে আজমীরের বাসায় ফোন দিয়ে মুক্তির জন্য ২০ হাজার টাকা চান।
আজমীর যাত্রাবাড়ী থানায় আটক রয়েছে শুনে বন্ধু ও রুমমেট ইব্রাহিম থানায় যান।
থানায় যাওয়ার পর ২০ হাজার টাকা না আনায় তার পকেটে থাকা এক হাজার টাকা
ছিনিয়ে নেয় দুই এএসআই। ইব্রাহিম প্রতিবাদ করলে দোতলায় ওসির রুমের পাশের
রুমে মারধর করা হয় তাকে। একপর্যায়ে খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা থানায়
উপস্থিত হলে তাদেরও লাঞ্ছিত করে পুলিশ। আজমীরকে ছেড়ে দিয়ে এ বিষয়ে সংবাদ
প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম। এ
সময় তিনি অভিযুক্ত দুই এএসআই’র কোন দোষ নেই বলে দাবি করেন। প্রহৃত
ইব্রাহিম বলেন, ‘আজমীরকে আটকের কথা শুনে আমি যাত্রাবাড়ী থানায় যাই। ওই সময়
আবদুর রহমান নামের এক পুলিশ আমাকে বলে, তুই কি আজমীরের লোক। ‘হ্যাঁ’ বলার
সঙ্গে সঙ্গে ওই পুলিশ বলে- ওসি স্যারের জন্য কত টাকা আনছস? এই বলেই আমার
পকেট থেকে এক হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। টাকা ফেরত চাইলে ওসি তদন্ত মাজহারের
সামনে আমাকে মারধর করে।’ এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি তদন্ত মাজহারুল
ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, থানা পুলিশের যে সদস্য ঘটনাটি
ঘটিয়েছে, তারা কাজটি ঠিক করেনি। তবে পুলিশ সন্দেহ করে ওই ছেলেকে ধরে নিয়ে
এসেছিল। ছেলেটিকে নির্দোষ মনে হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম বলেন, এএসআই রিয়াজ
ও আবদুর রহমানের ঘুষ নেয়ার ঘটনাটি আমি শুনেছি। নির্যাতিতরা লিখিত অভিযোগ
করলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Courtesy: http://www.mzamin.com/details.php?nid=NDU3Mw==&ty=MA==&s=Mjc=&c=MQ==
0 comments:
Post a Comment