January 17, 2012

Corruption won't let let you leave even after you die

কয়েকদিন আগে এক সন্ধ্যায় আমার জ্যেষ্ঠতম ভাই এক সড়ক দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর আমরা লাশ ফেরত নিয়ে আসতে চাইলে তিনি অপারগতা জানিয়ে বলেন যে, এ মুহুর্তে তাঁর করার কিছুই নেই। যা করার আইনানুগভাবে করতে হবে। সেই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ এবং বিহ্বল আমরা বারবার অনুনুয় বিনয় করলাম কিন্তু কোন লাভ হয় নি। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন পুলিশ আসলেন । তারা মৃতের সাথে আমাদের সস্পর্কের প্রমাণ, দূর্ঘটনা নাকি হত্যা ইত্যাদি নানা বিষয়ক প্রশ্ন করতে থাকে- যা আমাদের মধ্যে ভীতি এবং হতাশার সঞ্চার করে। আমরা যেকোন মুচলেকা দিয়ে লাশ ফিরিয়ে নিতে চাই ; কিন্ত তারা ‘পোস্টমর্টেম’-যা হবে আবার পরদিন-ছাড়া লাশ ফেরত দিবেনা।

বাধ্য হয়ে স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্যের সহায়তা নিই। তিনি ডিসিকে ফোন করে দেন এবং একটি চিঠি দিয়ে দেন। আমরা চিঠিটি নিয়ে রাতে ডিসি’র বাসায় যাই। ডিসি’র বাসার গেটে কর্তব্যরত দারোয়ান ঢুকতে দেবেনা,- ডিসি বাসায় নাই, এই বলে। ডিসি কোথায় আছে তাও তিনি জানেন না। এরপর আমাদের এক সহযোগী তাকে কিছু ‘নগদ নারায়ন’ গছিয়ে দিলে তিনি গেট খুলে দিয়ে একদম বাসার ভেতরে নিয়ে যান। ডিসি সাহেব এসে ‘তদন্ত সাপেক্ষে লাশ পোস্টমর্টেম ছাড়াই ফেরৎ’ দেয়ার আদেশ দেন। এই আদেশ নিয়ে হাসপাতালে এসে পুলিশকে দেয়া হয়, কিন্তু এরপরও তাদের মধ্যে কোন চাঞ্চল্য নেই। আগের মতই নির্বিকার, এখানে-ওখানে ফোন করেন, নিজেরা গল্প-গুজব করেন কিন্তু লাশ ফেরৎ এর কোন তৎপরতা দেখান না। বরঞ্চ নানা টালবাহানা এবং সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন। তখন রাত প্রায় বারটা। এত রাতে লাশ দেয়া যাবে না, আইনগত অসুবিধা আছে-আরো আরো কিছু বলতে থাকেন। এরপর তাদের সাথে ‘রফা’ হয়। ‘রফা’ হওযার সাথে সাথে ত্বরিৎ গতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এতক্ষণ কতরকমের অসুবিধা এবং আইনী বাধার কথা শুনিয়েছেন তা সব এক নিমিষেই উবে গেল।

লাশ নিয়ে আসা হলো, দাফন-কাফনের প্রস্তুতি চলছে। এরমধ্যে স্থানীয় থানা থেকে লোক এসে হাজির। পরদিন পুলিশ তদন্ত করবে, পুলিশ না আসা পর্যন্ত, তদন্দকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেন লাশ দাফন করা না হয়,-এই নির্দেশ দিয়ে গেলেন। ততক্ষনে বুঝলাম শুরু হলো অমানিশার আর এক পালা।

পরদিন স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ আর আসে না। এদিকে সময় গড়িয়ে যায়। লাশ দাফনের সময় পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে থানা থেকে ফোন করা হলো থানায় যাওয়ার জন্য। থানায় যাওয়া মানেই আবার উদ্ভট কিছু প্রশ্নের সম্মূখীন হওয়া কিন্তু একটি শোকসন্তপ্ত পরিবারের পক্ষে সেমুহুর্তে পুলিশের পিত্তি গরম করা প্রশ্নের সম্মূখীন হওয়ার মানসিকতা নেই,- এই ভেবে থানায় যাওয়ার সময়টা পরিবর্তন করতে বলার অপরাধে বিভিন্ন অশ্রাব্য এবং রুঢ় কথা শুনতে হলো তাদের কাছ থেকে। অগত্যা থানায় গিয়ে তদন্তের নামে যা হলো তার নাম ‘রফা’। এই ‘রফা’র পরপরই লাশ দাফনের অনুমতি মেলে।

আমরা নিজেরা থানায় কোন মামলা করিনি, কোন অভিযোগ দায়ের করিনি। তাতেই আমাদেরকে পুলিশের সাথে বিভিন্ন পয়েন্টে ‘রফা’ করতে হয়েছে। মামলা করা হলে না জানি আরো কতভাবে, কতমূল্যে ‘রফা’ করতে হতো।

লাশ দাফনের পরদিন থেকে শুরু হলো অন্য ধরণের খেলা। আমরা কোন মামলা করিনি তারপরও ‘দরদী’ সেজে স্থানীয় কিছু দুষ্টু চরিত্রের লোক এসে থানায় কেস করার জন্য আমাদের প্ররোচিত করলেন। কেহবা আবার আপোষ করে কিছুু ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা করে দেবেন বলেও আগ্রহ প্রকাশ করলেন। তাদের কারোই আসল মোটিভ সুবিধার বা সৎ ছিলো- একথা বিশ্বাস করার আমার কোন কারণ নেই। বুঝলাম, মানুষ মারা গেলে কিছু লোক/কিছু গোষ্ঠির বোধ হয় আয়ের একটা পথ খুলে যায়। আর তা যদি হয় কোন অপঘাতে মৃত্যু, তাহলে এদের এই শোষণ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয় সরকারী বিভিন্ন এজেন্সী, আইন আদালত, বিধি বিধান।

এর মধ্যে স্থানীয় এক মাদ্রাসা থেকে প্রস্তাব পাঠানো হলো এই বলে যে, আমরা সম্মত হলে তারা আমাদের পক্ষ হয়ে ‘বাস মালিক সমিতি’র কাছে দেন দরবার করে মাদ্রাসার জন্য মৃত ব্যক্তির নামে কিছু ক্ষতিপূরণ আদায় করবে। আর যেহেতু এই টাকা মাদ্রাসায় যাবে তাই মৃত ব্যক্তি কেয়ামত পর্যন্ত ‘ছোয়াব” পেতে থাকবে। কিন্তু ঘরপোড়া গরু আমরা আর কোন ঝামেলায় যেতে না চাওয়ায় তা প্রত্যাক্ষান করলাম।

শোকাতুর মৃতের পরিবারের কোমল মনোভাবের সুযোগে গ্রামীণ সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তি বা গোষ্ঠি মৃতের পরিবারকে একধরণের শোষন করে থকে। এরমধ্যে একটি গোষ্ঠি আছে যারা ধর্মীয় রীতিনীতির বাতাবরণে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের নামে টাকা-পয়সা পাওয়া বা ভোজন পাওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকে। মৃতের পরিবার এর মানষিক অবস্থার কারণে কোনরূপ ন্যায়/অন্যায় যৌক্তিক অযৌক্তিক বিচার বিশ্লেষন করার সুযোগ থাকেনা ফলে তারাও সামর্থ অনুযায়ী এদের আবদার রক্ষা করে থাকে। এরা আবার নিজ স্বার্থে মোটামুটি সংঘবদ্ধ । এদের আবদারে সম্মত না হলে আবার সমাজে ‘হাসাহাসি-কানাকানি’ করে থাকে। ফলে কোন কোন ক্ষেত্রে অনিচ্ছা সত্বেও এই সব লৌকিক আচার আচরন পালন করতে হলো।

Source: http://www.somewhereinblog.net/blog/Stream/29523356

January 13, 2012

A great example of Honesty from todays greedy and corrupted society








This poor Rickshawala (rickshaw puller) found two and half lakh taka (2,50,000BDT) about 4000US$ and returned it to his passenger who left the money on his rickshaw by mistaken through police.

The owner of the money has prized him with 50,000BDT about 800US$ for his honesty. and the police Dept. prized him 5000BDT as well

January 12, 2012

Indian bureaucracy rated worst in Asia

Indian bureaucracy is the worst in Asia with a 9.21 rating out of 10, according to a report by a prestigious consulting firm based in Singapore.
India fared worst than Vietnam (rated at 8.54), Indonesia (8.37), Philippines (7.57) and China (7.11), said the report released today by Hong Kong-based Political & Economic Risk Consultancy Ltd. Singapore remained the best with a rating of 2.25, followed by Hong Kong (3.53), Thailand (5.25) Taiwan (5.57), Japan (5.77), South Korea (5.87) and Malaysia (5.89).
The report said India’s inefficient bureaucracy was largely responsible for most of the biggest complaints that business executive have about the country. The complaints included inadequate infrastructure and corruption, where officials were willing to accept under-the-table payments and companies were tempted to pay to overcome bureaucratic inertia and gain government favours, the report claimed. The report also highlighted onerous and fickle tax, environmental and other regulations that could make business in India “so frustrating and expensive”.
It said dealing with court system in India was an unattractive option for companies, and would be best to avoid it.
The bureaucrats were rarely held accountable for wrong decisions and it would be extremely difficult to challenge them when there were disagreements, it said.
“This gives them (bureaucrats) terrific powers and could be one of the main reasons why average Indians as well as existing and would-be foreign investors perceive India’s bureaucrats as negatively as they do,” said the report.
But there were plus points when India was compared to countries within the economic development group.
In the 2011-12 Global Competitiveness Report of the World Economic Forum, India ranked behind China but ahead of Russia and Brazil for the burden of government regulations as well as for the burden of customs procedures.
India was also second to Brazil but well ahead of China and Russia for the quality of regulation and supervision of the securities exchange, said the report.
India was also better than Brazil, Russia and China as the fastest place to set up a new business and to deal with construction permits, and was the second fastest place to deal with export and import procedures, the report said.

January 7, 2012

Anti Corruption Commission targets the youth

The Anti Corruption Commission (ACC) will distribute a special ruler to school and college students. The corruption watchdog also plans to launch a special theme song as part of its country-wide campaign.

ACC's volunteer organisation 'Satata Sangha' will execute the initiative beginning next week by distributing the rulers and CDs to every school and college.

ACC chairman Golam Rahman told bdnews24.com: "Corruption prevention is more fruitful than corruption control. We think, the young generation can contribute the most. This initiative is only to make them aware of corruption."

The special ruler has a line written on it in Bengali aimed to strengthen the resolve among students not to indulge corruption.

The theme song was written and composed by renowned singer Hayder Hossain and sung by various artists.

=================================================
সারাদেশে মসজিদে দুর্নীতিবিরোধী খুৎবা পাঠের পর এবার স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিশেষ স্কেল বিতরণ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ গান (থিম সঙ) প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আগামী সপ্তাহ থেকে দুদকের স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সততা সংঘের মাধ্যেমে দেশের স্কুল-কলেজগুলোতে এসব স্কেল ও থিম সঙের সিডি বিতরণ করা হবে।

উদ্যোগ সম্পর্কে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্নীতি দমনের চেয়ে প্রতিরোধ বেশি ফলদায়ক। আমরা মনে করছি, একাজে তরুণ প্রজন্মই বেশি অবদান রাখতে পারবে। দুর্নীতির বিষয়ে তাদের সচেতন করতেই এমন উদ্যোগ।

শিক্ষার্থীদের মাঝে দুদক সাদা রঙের যে স্কেলটি বিতরণ করবে তার একপিঠে নীল রঙে দুদকের প্রতীকসহ লেখা রয়েছে দুর্নীতি করব না, সইব না, মানব না। অন্যপিঠে ওয়েব সাইটের ঠিকানাসহ লেখা রয়েছে দুদকের শ্লোগান- সততাই সর্বোত্তম নীতি

আমরা তরুণ, ঊষার অরুণ, সত্য ন্যায়ের কাণ্ডারি...দুর্নীতি বিরোধী এ থিম সঙের গীতিকার ও সুরকার হায়দার হোসেন। তার সঙ্গে এ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রুমা, রানা, শিখা ও সাফকাত।

দুদকের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি মনে করি, এটা ভালো উদ্যোগ। গত দুই-তিন বছরে দুর্নীতি প্রতিরোধে তেমন কোনো কাজ হয়নি। দুর্নীতি করলে শাস্তির পাশাপাশি প্রতিরোধটাও জরুরি। এজন্য রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করতে হবে।

দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “তরুণ প্রজন্মই পারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নেতিবাচক মানসিকতা তৈরি করতে।

দুর্নীতি প্রতিরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বছরের মার্চ থেকে দেশের ২ লাখ ৪০ হাজর মসজিদ বিশেষ খুৎবা পাঠের ব্যবস্থা করে দুদক। তাবলিগ জামায়াতেও বিতরণ করা হয় খুৎবা সম্বলিত পুস্তিকা।

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাতেও এমন খুৎবা পাঠের আয়োজন করা হবে বলে দুদক চেয়ারম্যান জানান।

দুদকের পরিচালক (প্রতিরোধ ও গণসচেতনতা) মেজর আবু জাফর তৌফিক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সারাদেশে দুদকের ১১ হাজার ৬৭২টি সততা সংঘ রয়েছে। প্রতিটি সংঘের সদস্য সংখ্যা ১১ জন। এছাড়া রয়েছে ৩ থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কয়েক হাজার পরামর্শক কাউন্সিল।

জাফর জানান, প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩৫ হাজার স্কেল বিতরণ করা হবে স্কুল পর্যায়ে। পরে দেশের প্রতিটি স্কুলে তা দেওয়া হবে। তার থিম সঙের সিডি দেওয়া হবে সব সততা সংঘের জন্য।

তবে এ ধরনের কাজে অর্থের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দুদকের সীমিত অর্থ দিয়ে এসব কাজ করা সম্ভব হয় না। এ কারণে বাইরের উৎস থেকে অর্থ সাহায্য নিয়ে এটা করা হচ্ছে। স্কেল ও থিম সঙের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।

চলতি অর্থবছরের এক লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকার বাজেটে দুদকের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৩২ কোটি টাকা।
Courtesy Source: -http://www.bdnews24.com/details.php?cid=2&id=215479&hb=2