নেই রুট পারমিট। নেই ফিটনেসও। অবাধে চলছে লক্কড়-ঝক্কর যানবাহন। সেই সঙ্গে
লাইসেন্স ছাড়াই চলছে লেগুনা-অটোরিকশা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণীর অসাধু
কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব গাড়ি। যে কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ।
সৃষ্টি হচ্ছে লাগামহীন যানজট। এসব গাড়ি চলাচল রোধ করতে কখনও কখনও অভিযান
হয়। মূলত অভিযানের নামে করা হয় আইওয়াশ। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙার
দায়ে যানবাহন আটক করে মামলা দিয়ে ভুয়া রশিদের মাধ্যমে আদায় করা হয় জরিমানার
টাকা। এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমার বদলে চলে যায় অসাধু কর্মকর্তাদের
পকেটে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশের দাবি মতো চাঁদা দিতে
অস্বীকৃতি জানালেই মামলা দিয়ে দেন অনেকে। এমনকি এই মামলার জরিমানা দিতে
গিয়েও হয়রানির শিকার হন তারা। দালাল ও সরকারি কর্মকর্তাদের খপ্পরে পড়ে
গুনতে হয় বাড়তি টাকা। অনুসন্ধানে বের হয়েছে চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ফিটনেস গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। রাজধানীতে গত জুলাই পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় ৯ লাখ গাড়ির মধ্যে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫১টি গাড়িই ফিটনেসবিহীন। সূত্রমতে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১১৯২টি বাসের নিবন্ধন করা হয়। তার আগে ২০১৪ সালে ১৩৬৪টি, ২০১৩ সালে ৯৭১টি, ২০১২ সালে ১২১৮টি, ২০১১ সালে ১৫০১টি, ২০১০ সালে ১২৩১টি বাসের নিবন্ধন করা হয়। রাজধানীতে ৯২টি কোম্পানির বাস-মিনিবাস মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বাস চলাচল করে। এসব বাসের মধ্যে বেশির ভাগই সড়কে চলাচল করে সুযোগ বুঝে। অভিযান চলাকালে বাসগুলো সড়কে নামান না মালিকপক্ষ।
অবাক করার মতো হলেও সত্য ফিটনেস না থাকলেও ফিটনেসের সনদ আছে অনেক গাড়ির। এসব সনদ নিতেও তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না। এমনকি চালকের সনদও মিলে খুব সহজে। বিআরটিএ কার্যালয় পরিদর্শন করে দেখা গেছে, দালালদের উপদ্রব সেখানে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অযোগ্য ব্যক্তিকে চালক হিসেবে সনদ দেয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই মিলে বিআরটিএ’র কার্যালয়ে। এসব কাজ করে দেয়ার জন্য এখানে রয়েছে শতাধিক দালাল। গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ সকল কাজই করে দেন তারা। তবে এজন্য দিতে হয় উৎকোচ। উৎকোচের বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে ফিটনেসের কাগজ মিলছে সহজে। একটি গাড়ির ফিটনেস সনদ নিশ্চিত করতে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা নেন দালালরা। ব্যাংকে ৭৫০ টাকা জমা দিয়ে বাকি টাকা ভাগ হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও দালালের মধ্যে। ৭-৮ হাজার টাকার বিনিময়ে মিলে ড্রাইভিং লাইসেন্স। শাকিল নামে এক দালাল জানান, পরীক্ষা দেয়া ছাড়াই ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে পারেন তিনি। তবে পরীক্ষার দিন উপস্থিত থাকতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের মোহাম্মদপুর (পশ্চিম) কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে একই চিত্র। মামলার জরিমানা দিতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয় সাধারণ মানুষকে। কিন্তু সেখানে কর্মরত এসআই মাসুদ ও এসআই তাজ চক্রের দালালদের উৎকোচ দিলেই সহজে সমাধান হয় সকল কর্ম। গত ২৭শে জুলাই মামলার জরিমানা জমা দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার এক চালক জানান, ২৬শে জুলাই মোহাম্মদপুর এলাকায় সার্জেন্ট মোতালেব একটি গাড়িকে রেকার লাগিয়ে তুলে নেয়। পরে মামলা দেন। মামলার পর তিনি বলে দেন ট্রাফিক কার্যালয়ে গিয়ে এসআই মাসুদ বা তাজের সঙ্গে দেখা করিস। পরদিন জরিমানা দিতে গিয়ে প্রথমে লাইনে দাঁড়ান তিনি। পরে এসআই তাজের সঙ্গে দেখা করে সহজেই জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। পরে ৯শ’ টাকার স্ট্যাম্প কেনা ও রেকারের বিল বাবদ আরও টাকা দাবি করেন ওই দুই এস আই। তাদের সঙ্গে রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের দালাল হিসেবে পরিচিত মোশাররফ। সঙ্গে টাকা না থাকলে বিকালে উৎকোচ আদায় করে এই চক্র। ২৭শে জুলাই এই চক্রের দেয়া ০১৯১৩২২১৪২৬, ০১৯১৮১১২৭৭ ও ০১৭১৮৬৮৪৬৩৬ নম্বরে ওই চালক ০১৯৩৫৪৬৮০৯৭ থেকে বিকাশে টাকা দিয়ে তবেই রেহাই পান।
জরিমানা জমা দিতে গেলে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রয়োজন হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অনেকের কাছেই তা থাকে না। এই সুযোগ নেন মোশাররফ। ২শ’ থেকে ২৫০ টাকায় পরিচয়পত্রের ফটোকপি বিক্রি করে বিল জমা দেন তিনি। এই কাজটি বাইরের অন্য কেউ করতে পারেন না স্থানীয় সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের কারণে। বিআরটিএ’র এই অনিয়ম সম্পর্কে উপ-পরিচালক প্রকৌশলী এসকে মাহবুব-ই-রাব্বানী বলেন, বিআরটিএ-কে দালালমুক্ত রাখতে আমরা সচেষ্ট। এখানে কেউ অনিয়ম করলে ছাড় দেয়া হবে না। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সনদ নিয়ে এবং সনদ ছাড়া উভয় পদ্ধতিতেই চলছে যানবাহন। আবদুল কাদের নামক চালক জানান, ফিটনেস নেই বলে প্রায়ই গাড়ি আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। টাকা দিলেই আবার ছেড়ে দেয় এভাবেই গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি। গাবতলী-যাত্রাবাড়ী রুটের একটি বাসের চালক হাবিব জানান, গাড়ির ফিটনেস নেই অনেক আগ থেকেই। সড়কে চলাচলের বিষয়টি কোম্পানির ব্যাপার। তারাই ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করেন। সূত্রমতে, ট্রাফিক পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের পরিবহন মালিকপক্ষ উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে। তবে অভিযান শুরু হলে এসব গাড়ির দেখা মেলে না রুটে। রাত ১০টার আগে রাজধানীতে ট্রাক প্রবেশে নিষেধ থাকলেও দিনদুপুরেই ট্রাক ঢুকতে দেখা যায়।
একইভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই বিভিন্ন সড়কে অটোরিকশা-লেগুনা চালাচ্ছেন অনেকে। যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, গুলিস্থানে কথা হয় লেগুনা চালকদের সঙ্গে। তাদের অনেকেরই লাইসেন্স নেই। রাজ্জাক নামে এক লেগুনা চালক জানান, লাইন্সেন পাওয়া কঠিন। তার চেয়ে ট্রাফিক পুলিশ ম্যানেজ করেই চলছেন তিনি। এজন্য প্রতিদিনই ২৫০ টাকা লাইন ফি দিতে হয় তাকে।
শনিবার বিকাল ৫টায় খিলক্ষেত এলাকায় এক সিএনজি অটোরিকশা আটক করেন ওই এলাকার ট্রাফিক সার্জেন্ট সুকান্ত। চালক লাল মিয়ার অভিযোগ, যত্রতত্র পার্কিংয়ের অভিযোগে তার কাছে ১ হাজার টাকা দাবি করেন সুকান্ত। টাকা দিতে রাজি না হলে রেকারের ভয় দেখান তিনি। শেষ পর্যন্ত লাল মিয়ার অটোরিকশার নামে একটি মামলা দেন সুকান্ত। অনেকক্ষেত্রেই উৎকোচ গ্রহণ করে আইন অমান্য করা চালকদের মামলা থেকে রেহাই দেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে অভিযান চলছে। এসব গাড়ি দুর্ঘটনা ও যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীতে ট্রাক প্রবেশ সম্পর্কে তিনি জানান, রাত ১০টার আগে বাইরে থেকে রাজধানীতে ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। এসব ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কেউ অনিয়ম করলে সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুর্বে প্রকাশিতঃ mzamin.com/details.php?mzamin=ODg3ODg=&s=Mw==
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ফিটনেস গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। রাজধানীতে গত জুলাই পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় ৯ লাখ গাড়ির মধ্যে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫১টি গাড়িই ফিটনেসবিহীন। সূত্রমতে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১১৯২টি বাসের নিবন্ধন করা হয়। তার আগে ২০১৪ সালে ১৩৬৪টি, ২০১৩ সালে ৯৭১টি, ২০১২ সালে ১২১৮টি, ২০১১ সালে ১৫০১টি, ২০১০ সালে ১২৩১টি বাসের নিবন্ধন করা হয়। রাজধানীতে ৯২টি কোম্পানির বাস-মিনিবাস মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বাস চলাচল করে। এসব বাসের মধ্যে বেশির ভাগই সড়কে চলাচল করে সুযোগ বুঝে। অভিযান চলাকালে বাসগুলো সড়কে নামান না মালিকপক্ষ।
অবাক করার মতো হলেও সত্য ফিটনেস না থাকলেও ফিটনেসের সনদ আছে অনেক গাড়ির। এসব সনদ নিতেও তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না। এমনকি চালকের সনদও মিলে খুব সহজে। বিআরটিএ কার্যালয় পরিদর্শন করে দেখা গেছে, দালালদের উপদ্রব সেখানে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অযোগ্য ব্যক্তিকে চালক হিসেবে সনদ দেয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই মিলে বিআরটিএ’র কার্যালয়ে। এসব কাজ করে দেয়ার জন্য এখানে রয়েছে শতাধিক দালাল। গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ সকল কাজই করে দেন তারা। তবে এজন্য দিতে হয় উৎকোচ। উৎকোচের বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে ফিটনেসের কাগজ মিলছে সহজে। একটি গাড়ির ফিটনেস সনদ নিশ্চিত করতে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা নেন দালালরা। ব্যাংকে ৭৫০ টাকা জমা দিয়ে বাকি টাকা ভাগ হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও দালালের মধ্যে। ৭-৮ হাজার টাকার বিনিময়ে মিলে ড্রাইভিং লাইসেন্স। শাকিল নামে এক দালাল জানান, পরীক্ষা দেয়া ছাড়াই ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে পারেন তিনি। তবে পরীক্ষার দিন উপস্থিত থাকতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের মোহাম্মদপুর (পশ্চিম) কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে একই চিত্র। মামলার জরিমানা দিতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয় সাধারণ মানুষকে। কিন্তু সেখানে কর্মরত এসআই মাসুদ ও এসআই তাজ চক্রের দালালদের উৎকোচ দিলেই সহজে সমাধান হয় সকল কর্ম। গত ২৭শে জুলাই মামলার জরিমানা জমা দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার এক চালক জানান, ২৬শে জুলাই মোহাম্মদপুর এলাকায় সার্জেন্ট মোতালেব একটি গাড়িকে রেকার লাগিয়ে তুলে নেয়। পরে মামলা দেন। মামলার পর তিনি বলে দেন ট্রাফিক কার্যালয়ে গিয়ে এসআই মাসুদ বা তাজের সঙ্গে দেখা করিস। পরদিন জরিমানা দিতে গিয়ে প্রথমে লাইনে দাঁড়ান তিনি। পরে এসআই তাজের সঙ্গে দেখা করে সহজেই জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। পরে ৯শ’ টাকার স্ট্যাম্প কেনা ও রেকারের বিল বাবদ আরও টাকা দাবি করেন ওই দুই এস আই। তাদের সঙ্গে রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের দালাল হিসেবে পরিচিত মোশাররফ। সঙ্গে টাকা না থাকলে বিকালে উৎকোচ আদায় করে এই চক্র। ২৭শে জুলাই এই চক্রের দেয়া ০১৯১৩২২১৪২৬, ০১৯১৮১১২৭৭ ও ০১৭১৮৬৮৪৬৩৬ নম্বরে ওই চালক ০১৯৩৫৪৬৮০৯৭ থেকে বিকাশে টাকা দিয়ে তবেই রেহাই পান।
জরিমানা জমা দিতে গেলে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রয়োজন হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অনেকের কাছেই তা থাকে না। এই সুযোগ নেন মোশাররফ। ২শ’ থেকে ২৫০ টাকায় পরিচয়পত্রের ফটোকপি বিক্রি করে বিল জমা দেন তিনি। এই কাজটি বাইরের অন্য কেউ করতে পারেন না স্থানীয় সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের কারণে। বিআরটিএ’র এই অনিয়ম সম্পর্কে উপ-পরিচালক প্রকৌশলী এসকে মাহবুব-ই-রাব্বানী বলেন, বিআরটিএ-কে দালালমুক্ত রাখতে আমরা সচেষ্ট। এখানে কেউ অনিয়ম করলে ছাড় দেয়া হবে না। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সনদ নিয়ে এবং সনদ ছাড়া উভয় পদ্ধতিতেই চলছে যানবাহন। আবদুল কাদের নামক চালক জানান, ফিটনেস নেই বলে প্রায়ই গাড়ি আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। টাকা দিলেই আবার ছেড়ে দেয় এভাবেই গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি। গাবতলী-যাত্রাবাড়ী রুটের একটি বাসের চালক হাবিব জানান, গাড়ির ফিটনেস নেই অনেক আগ থেকেই। সড়কে চলাচলের বিষয়টি কোম্পানির ব্যাপার। তারাই ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করেন। সূত্রমতে, ট্রাফিক পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের পরিবহন মালিকপক্ষ উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে। তবে অভিযান শুরু হলে এসব গাড়ির দেখা মেলে না রুটে। রাত ১০টার আগে রাজধানীতে ট্রাক প্রবেশে নিষেধ থাকলেও দিনদুপুরেই ট্রাক ঢুকতে দেখা যায়।
একইভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই বিভিন্ন সড়কে অটোরিকশা-লেগুনা চালাচ্ছেন অনেকে। যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, গুলিস্থানে কথা হয় লেগুনা চালকদের সঙ্গে। তাদের অনেকেরই লাইসেন্স নেই। রাজ্জাক নামে এক লেগুনা চালক জানান, লাইন্সেন পাওয়া কঠিন। তার চেয়ে ট্রাফিক পুলিশ ম্যানেজ করেই চলছেন তিনি। এজন্য প্রতিদিনই ২৫০ টাকা লাইন ফি দিতে হয় তাকে।
শনিবার বিকাল ৫টায় খিলক্ষেত এলাকায় এক সিএনজি অটোরিকশা আটক করেন ওই এলাকার ট্রাফিক সার্জেন্ট সুকান্ত। চালক লাল মিয়ার অভিযোগ, যত্রতত্র পার্কিংয়ের অভিযোগে তার কাছে ১ হাজার টাকা দাবি করেন সুকান্ত। টাকা দিতে রাজি না হলে রেকারের ভয় দেখান তিনি। শেষ পর্যন্ত লাল মিয়ার অটোরিকশার নামে একটি মামলা দেন সুকান্ত। অনেকক্ষেত্রেই উৎকোচ গ্রহণ করে আইন অমান্য করা চালকদের মামলা থেকে রেহাই দেন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে অভিযান চলছে। এসব গাড়ি দুর্ঘটনা ও যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীতে ট্রাক প্রবেশ সম্পর্কে তিনি জানান, রাত ১০টার আগে বাইরে থেকে রাজধানীতে ট্রাক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। এসব ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কেউ অনিয়ম করলে সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুর্বে প্রকাশিতঃ mzamin.com/details.php?mzamin=ODg3ODg=&s=Mw==
