October 14, 2013

Leaving the polutions



 


চারিদিকে এত এত আশ্বাস আর নিশ্চয়তা শুধুই মিথ্যে প্রলোভনের নতুন নতুন উদ্ভাবন; কিন্তু আমাদের ভাগ্যের শিকেটা এবারও মনে হয় ছিঁড়ল না।

জ্যামে জটে ঘামে ভেজা গানিয়েই আমাদের ঈদ করতে যেতে হবে। যাবই আমারা, এই রাস্তা, এই বাস, এই জঘন্য জ্যাম, এই ঠাসাঠাসি করে বাসের ছাদে উঠা, ট্রাকে উঠা, এই দূষিত কালো ধোঁয়া, যখন তখন জানটা খোয়ানোর ভয় নিয়ে হলেও আমরা বাড়ি যাব বাবা মার সাথে ঈদ করতে। দুষ্টু সে ছোট ভাইটি, মায়াবতী বোনটার চেহারা ক্ষণে ক্ষণেই মনে পড়ে যায়। এত কষ্ট আর উৎকণ্ঠা মাঝেও মনটা একরাশ তৃপ্তিতে ভরে যায়। যাক শেষ পর্যন্ত বাড়ি যেতে পারছি। এতেই আমাদের আনন্দ এতেই আমাদের সুখ।

বাড়িতে তো তারাই থাকে, সারা বছর অবহেলায় ফেলে রাখা কাছের কেউ যাদের দায়িত্ব তোমরা মাঝে মাঝেই অস্বীকার কর। সেই প্রিয় মুখ যাদের জন্য সারাবছর এই নোংরা শহরের কোন কোনে অস্বস্তি ভরে রাতের পর রাত কাটিয়েছি যাকে তোমরা বস্তি বল। রক্ত পানি করা উপার্জন আমার কাদের জন্য ?

দুর্নীতি আর অনুপার্জিত আয়ের বিত্ত বৈভব আর বিলাসিতায় তোমরা ভুলে গেছো কাদের ঘামে ভেজা পরিশ্রমে তোমাদের এ বিলাসিতা।

বিদায় কনক্রিটের জঙ্গল আর যান্ত্রিক জীবন।  বিদায়। বেচে ফিরি বা না ফিরি তোমরা হারাবে কালের আস্তা-কুঁড়ে।