March 31, 2012

Stop wasting our Precious Tax Money, We Demand Accountability!!

Stop wasting our Precious Tax Money, We Demand Accountability!!
 
জনগনের করের টাকার শ্রাদ্ধ থামান। অন্যায়ের বিচার চাই।
 
  • একবারেই ত এবারের তিন ফুট ব্যাসের পাইপগুলো গত বছরই বসাইতে পারত।
  • আর যদি ঠিক ই থাকে তবে কেন এত তাড়াতাড়ি প্রায় অক্ষত এই পাইপগুলো এবার আবার উঠান হচ্ছে??
  • এই ২ ফুট ব্যাসের প্রায় অক্ষত (গত বছর বসাইতে এবং এ বছর উঠাইতে কিছু ভেঙ্গে গেছে) পাইপগুলো বসান যদি ঠিক ই না হয়ে থাকে, তবে কেন গত বছর এগুলো বসানো হয়েছিল?
 
 
 






 

March 29, 2012

They are LAW ENFORCEMENT AGENT - A picture is more intellectual than thousand words

 সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এমনিতেই যানজট বেড়ে যায় দু:সহ এই যানজট দূর করতে প্রধান দায়িত্ব থাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ওপর কিন্তু এই ট্রাফিক পুলিশের কারণেই উল্টো যানজট ভয়াবহ আকার নেয় যার প্রমাণ ধরা পড়েছে বাংলানিউজের ক্যামেরায় আর কে না জানে , “একটা ছবি হাজার শব্দের চেয়ে বেশি কথা বলে ( পিকচার ইজ মোর ইলোকুয়েন্ট দ্যান থাউজ্যান্ড ওয়ার্ডস)
বৃহস্পতিবার মহাখালী রেলক্রসিং- ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বাসস্ট্যান্ডের দিকে ছুটতে থাকে মানুষ ফলে এই সময়টিতে এখানে যানজট আরও অসহনীয় রূপ নেয় কিন্তু কারণটি কি শুধুই মানুষের ভিড়? না, কারণ পুলিশ; হ্যাঁ, পুলিশ

মহাখালী রেলক্রসিংয়ের উপরের ফ্লাইওভার থেকে যেসব দৃশ্য বাংলানিউজের ক্যামেরাবন্দি করা হয় তা থেকেই জানা যাবে যানজটের প্রধান কারণ ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থেকে দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করা হয় দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যটি চাঁদা তুলছেন, অদূরে দাঁড়িয়ে থেকে তা তদারকি করছেন একজন সার্জেন্ট চাঁদাবাজির মূল টার্গেট ম্যাক্সি প্রতিটি গাড়ি অবৈধভাবে ঘুরছে রেলক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে আর ট্রাফিক পুলিশের হাতে জমা পড়ছে টাকা দূর থেকে দেখে ১০ টাকাই মনে হলো তবে তা একটি নোট নাকি একাধিক তা বোঝা গেলো না এই আক্রার বাজারে শ্রেফ ১০ টাকায় ছাড় পাবে ম্যাক্সিগুলো সেটাও অসম্ভব!

ম্যাক্সির সব চালকই যেসুবোধ বালকতাও তো নয় কেউ কেউ টাকা না দেওয়ার জন্য জ্যাঠামো করে দেনদরবার করে অবস্থায় দরকষাকষি করতে হয় তাতে সময় কেটে যায় সঙ্গে ম্যাক্সির পেছনে জমা পড়ে আরো ম্যাক্সি, তার পরে বাস, সিএনজি অটোরিক্সা, প্রাইভেট কার ফলে যানজট দীর্ঘ হয় এক পর্যায়ে রফা হয় আবার গাড়ি চলে আবার আসে ম্যাক্সি অবৈধ পথে ঘুরে যাওয়ার পাঁয়তারা করে পুলিশের হাতে টাকা গুঁজে দিলে নিমেষেই কেল্লা ফতে এভাবেই চলতে থাকে দিনভর

দেশজুড়ে চলছে দুর্নীতি দমন সপ্তাহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে পুলিশেরও রয়েছে কর্মসূচি কিন্তু দুর্নীতি দমনের এই সপ্তাহে প্রকাশ্যেই এভাবে চাঁদা নিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কার সাধ্যি ওদের এই অন্যায়ে বাধ সাধে!
বিষয়টি কেবল বাংলানিউজের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাই নয়, শত শত পথচারীর চোখে সামনেই ঘটেছে এমনটি কিন্তু সবাই নির্বিকার কারণ একটাই... ওরা যে আইনের লোক!!
courtesy source:  http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=ff1a4f97d6927a2cceacc68d02b7d78d&nttl=29032012100199

March 27, 2012

When The Guardian becomes the Persecutor - রক্ষক ই যখন ভক্ষক

সুমন পাইক
বার্তা২৪ ডটনেট
ঢাকা, ২৬ মার্চ: সন্ত্রাসী ধরার নামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের থানায় থানায় চলছে সিভিল টিমের আটক-মুক্তি বাণিজ্য। রোববার দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত শাহবাগ থানার সিভিল টিমের একটি সাদা মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ ১১-৪৪৭৩) অনুসরণ করে পাওয়া গেছে আটক বাণিজ্যের ভয়াবহ চিত্র।
 
এ সময়ের মধ্যে টিমটি ছয় থানা এলাকার সড়ক থেকে ১২ জন লোককে আটক করে। পথে পথে টাকার বিনিময়ে মুক্তি মিলে ১০ জনের। একজনের মুক্তি মিলে খোদ থানায়। আরেকজন বিকাল পর্যন্ত থানায় আটক ছিলেন। তবে ডিউটি অফিসারের কাছে তা নথিভুক্ত ছিল না।
 
এর আগে ১০ মার্চ আটক ও টাকায় মুক্তির অভিযোগে রামপুরা থানার এস আই আবু হানিফ, এসআই শহিদুল, এএসআই সাইফুল ও এএসঅই মনিরকে ডিএমপির মতিঝিল জোনের ডিসির দফতরে তলব করা হয়। পরে আর আটক বাণিজ্য করবেন না বলে ডিসি আনোয়ার হোসেনের কাছে মুচলেকা দিয়ে আসেন এই পুলিশ কর্মকর্তারা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসি বা ডিসিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওসিদের সহযোগিতায় এসআই ও এএসঅইরা এ বাণিজ্য করে থাকে।
 
রোববার দুপুর ১২ টার দিকে শাহবাগ থানার এসআই ছাইদুলের নেতৃত্বে একজন এএসআই, একজন কনস্টেবল ও সন্ত্রাসী আঙ্গুল কাটা সবুজসহ সিভিল টিমের মাইক্রোবাসটি বাড্ডা থানাধীন মেরুল মাছের আড়তের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় মাছের আড়ৎ টাকা গুণতে গুণতে বের হয়ে মাটির ঠিকাদার হারুনুর রশিদ রামপুরা টিভি সেন্টারের বিপরীত দিকের মিষ্টি ভাণ্ডার নামের দোকানের সামনে দাঁড়ান। সেখানে দাঁড়িয়ে সড়ক পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সোহাগ। এ সময় সিভিল টিমের গাড়িটি এসেই তাদের উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।
 
হারুন জানান, তিনি ডায়েবেটিক রোগী। তিনি পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. কানিজ মাওলার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। টাকা নিয়ে তিনি ওই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য সেখানে দাঁড়ান। এরপর তাকে ও সোহাগকে তুলে নিয়ে গাড়িটি খিলগাঁও থানা এলাকা হয়ে শাহজাহানপুরের দিকে যায়। গাড়িতে স্বজনদের ফোন করতে বলেন এসআই ছাইদুল। সোহাগ ফোন করলে তার স্বজন শাহীনের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে এসআই। এ সময় আটককৃত হারুনের স্বজনদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে শাহবাগ থানায় ফোন করলে ডিউটি অফিসার এসআই মালেক জানান, ছাইদুলের শাহবাগ থানা এলাকায় ডিউটি, রামপুরা টিভি সেন্টার যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এরপর এসআই ছাইদুলের মোবাইলে ফোন করলে তিনি আটকের বিষয় অস্বীকার করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি রাজধানীর যে কোনো এলাকা থেকে আসামি ধরতে পারবেন। তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে এ নির্দেশ দিয়েছেন।
 
আটক হওয়া হারুন জানান, সাংবাদিকদের কাছ থেকে টেলিফোন পেয়ে এসআই তাকে চালান দেয়ার হুমকি দিতে থাকে। এ অবস্থায় গাড়িটি মাহজাহানপুরে পৌঁছলে আটক করা হয় একজনকে। তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে ফকিরাপুল এলাকায় ছেড়ে দেয়া হয়। গাড়ি চলতে থাকে পল্টনের দিকে। আটক দু’জনকে টাকার বিনিময়ে বংশালে মুক্তি মেলে। এরপর বংশাল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। এদের দুজনের মুক্তি মিলে বংশালেই আরেকজনের মুক্তি মিলে দোয়েল চত্বর মোড়ে। এরপর টিএসসির মোড়ে মাত্র পাঁচশত টাকার বিনিময়ে ছাড়া পায় সোহাগ। গাড়িটি চলে যায় ঢাকা মেডিকেলের দিকে। সেখানে সড়ক থেকে একজনকে আটক করা হয়। পরে গাড়িটি চলে যায় শাহবাগ থানায়। এর মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যায় হারুনের স্বজনরা। পরে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে মুক্তি পায় হারুন। তার বাসা রামপুরা মহানগর প্রজেক্টে। তখনো হারুন ঢাকা মেডিকেল এলাকা থেকে আটককৃতকে থানায় দেখে এসেছেন।
 
হারুনের মুক্তির পর এসআই ছাইদুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, হারুন সন্ত্রাসী। তবে কেন তাকে ছাড়া হলো-এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে তিনি গোপালগঞ্জের প্রভাব দেখান এবং তার কিছুই করা যাবে না বলে জানান।
 
এরপর তিনি নিজেই বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ফোন করে এ প্রতিবেদককে থানায় দেখা করার জন্য বলেন।
 
Courtesy: বার্তা২৪ ডটনেট/এসকে/জবা - http://www.barta24.net/index.php?view=details&data=Food&news_type_id=1&menu_id=64&news_id=37181

Action Against Corruption Week by Anti Corruption Commission

Anti Corruption Commission - HQ


Action Against Corruption Week is performing by ACC. You are Cordially invited at Anti Corruption Commission. দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে দুর্নীতি দমন সপ্তাহ, আপনারা সবাই আমন্ত্রিত।

Your participation is highly expected.
Thank you.

http://www.facebook.com/events/211431832290818/

March 17, 2012

Forces Against corruption - some of our recent Pictures

Roar Like Tigers !!
Welcome Bangladesh Cricket Team
দেশের মুখ উজ্জল করার জন্য আপনাদের অভিনন্দন।



Peace
hehehehe.. কে আছেন ভাই।। খালি একবার এক্টা খোচা মারেন দেখেন দুর্নীতি বাজ কেমনে লাফ মাইরা উঠে !!!
ত্রিশ বছর পরেও আজ স্বাধীনতাটাকে খুজছি !!

Money in Politics is the root of all evil !!

The System that is unable to protect it's component.

হাসপাতালের মতো জায়গা হয়েছে সহজে টাকা উপার্জনের মোক্ষম জায়গা। এ্রসব অনাচারের বিচার কে করবে?

corruptions is also widely responsible for Price Hike !! - দুর্নীতি ও মূল্যস্ফীতি জন্য বহুলাংশে দায়ী !!



March 5, 2012

How to Film A Demonstration or Revolution-a tutorial


For more tutorial please keep an eye on this blog
feel free to ask any question if you have.

Its Odd that Police take Bribe - পুলিশ ঘুষ খায়- কথাটি উদ্ভট

সব থানার বিভিন্ন কক্ষে লেখা আছে ধূমপান নিষিদ্ধ কিংবা ধূমপানমুক্ত এলাকা। কিন্তু দেখা যায় লেখা নেমপ্লেটের নিচে বসেই দামি ব্র্যান্ডের সিগারেট খাচ্ছেন। এই চিত্র দেখা গেল রাজধানীর নিউমার্কেট থানায়। আর পুলিশ ঘুষ খায়’- কথাটিই নাকি উদ্ভট- এমন বিস্ময়কর মন্তব্য করলেন ওই থানারই এক কর্মকর্তা।
রাত তখন প্রায় ১২টা। শীতের রাত। নগরবাসীর বেশির ভাগই ঘুমে। নীরব রাস্তা । দুই একটা রিকশা চলছে। অবশ্য নীলক্ষেত এলাকায় রাস্তার ধারে ডিমের দোকানগুলো তখনো সরব ।
নীলক্ষেত পেরিয়ে মোটরসাইকেল বামে মোড় নিল। সামনে নিউমার্কেট থানা। একটা বাল্ব বেঁচে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা করছে। আধো আলো আধো অন্ধকার পরিবেশ।
থানার ঢুকলাম। ভেতরেও একই পরিবেশ। একটা তালাবদ্ধ দরজায় চোখ পড়ল। দেয়ালের নেমপ্লেটে লেখা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি এ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কনস্টেবল সেলিমকে জিজ্ঞেস করলাম ওসি সাহেব নেই’? খুব গভীরভাবে আমাকে দেখে বললেন, “না। ডিউটি অফিসার আছেন।পাশের একটি রুম দেখিয়ে দিলেন।
দুজন বসে আছেন। একজনের সামনে কয়েক ধরনের ওয়ারলেস। অন্যজন ডিউটি অফিসার শফিউর হক।
রুমটি স্যাঁতসেতে। দেয়ালে অনেক ছোট বড় পোস্টার। সবগুলোই সচেতনতামূলক। পরিচয় দিতেই শফি সাহেব হেসে বললেন, “আজ কোনো ঝামেলা নাই। থানা খালি।
আলাপ শুরু হলো। শফি সাহেব শুরুতেই উপদেশ দিলেন পুলিশকে শত্রু ভাববেন না। পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকদের সম্পর্ক ভালো রাখতে হয়। তাহলে তথ্য পাওয়া সহজ হয়। আগে অনেক সাংবাদিক পুলিশকে বাঁকা নজরে দেখত। এখন এ প্রবণতা কমেছে।
জানতে চাইলাম পুলিশ কেন ঘুষ খায়। শফি সাহেব হাসলেন। চোখে মুখে একটা কষ্ট দেখলাম। তিনি বললেন, “পুলিশ নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করে। থানায় জিডি করতে টাকা লাগে না। নানাভাবে তারা মানুষের সেবা করেন। তাদের ভালো বিষয়গুলো কেউ তুলে ধরতে চায় না।
একটু থামলেন। এরপর বললেন, ‘আমরা ঘুষ খাই - এটি উদ্ভট ও বানোয়াট। এটি প্রচার করে পুলিশকে মানসিক চাপে রাখার চেষ্টা করা হয়।
বললাম থানায় অনেকে জিডি করেন। জিডি করে কি আদৌ লাভ হয়?” 
এমন সময় বলতে বলতে রুমে ঢোকেন এস আই খায়রুল বাশার। তিনি থানায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বললেন, “জিডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বলতে পারেন ইতিহাস। খুব স্পর্শকাতর বিষয়। ৭৫ বছর পর্যন্ত প্রতি থানায় জিডির বই সংরক্ষিত থাকে। এলাকার মানুষের পেটে ব্যথা, পশুর রোগ আর আবহাওয়ার বিষয়ও পুলিশ চাইলে জিডি করে রাখতে পারে।
এরপর তিনি একটা দামি ব্রান্ডের প্যাকেট হতে একটা সিগারেট ধরালেন। যদিও তার মাথার ওপর নেমপ্লেটে লেখা এখানে ধূমপান করবেন না
খায়রুল বাশারের সঙ্গে আসা কনস্টেবল আফজাল বললেন, “এ কারণে অনেক সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা খুব সচেতনভাবে জিডি করেন।
বাশার সাহেব কথা বলতে শুরু করলেন। জনবল ও তথ্য প্রযুক্তির সাপোর্ট দিলে পুলিশ সমাজটাকে বদলে দিতে পারবে। তাদের কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে। পুলিশকে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সেবা শিক্ষা দেয়া হয়। তবে সেই সেবা সম্পর্কে অপরাধীরাও এক্সপার্ট হয়ে ওঠার পর। অথচ উন্নত দেশে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সম্পর্কে সবার আগে পুলিশকেই জানানো হয়।
শফিউর হক বলেন, “পুলিশের অনেক কষ্ট। সেসব কথা স্বীকার করলেও সমস্যা। কিন্তু স্বীকার না করেও পারি না। তবে স্পর্শকাতর কোনো বিষয়ে মন্তব্য করি না। কষ্ট আরো হয় যখন দেখি মানুষ পুলিশকে মন্দ কথা বলে। কয়েকদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দায়িত্ব পালন করার সময় এক ছাত্র আমাকে বুড়া বেটাবলল।
কথা শেষ না হতেই কনস্টেবল আফজাল বলেন, “ক্যান স্যার। তার বাড়িতে কি বুড়া বাপ নাই। তার দাদা কি মারা যায় নাই।বসের প্রতি এটি তার ভালোবাসা নাকি আনুগত্য এটা বোঝা গেল না।
তাকে থামিয়ে দিয়ে শফিউর সাহেব বললেন, “আমরা চাইলে তো সে ছেলেটিকে শাস্তি দিতে পারতাম। কিন্তু দিলেই সমালোচনার বন্যা বইতো। আমাদের নিজেদের মধ্যেই অনেকেই বলতেন ছাত্রদের শাস্তি দেন। কেমন মানুষ আপনে। ম্যানেজ করে চলতে পারলেন না।
বিদায় নিলাম। রাত তখন দুইটা।
courtesy: http://www.barta24.net/index.php?view=details&spc_news=yes&data=Bank&news_type_id=1&menu_id=64&spc_id=38&news_id=28654

March 3, 2012

Illegal drug deal by police: arrested 3 - পুলিশের ফেন্সিডিল ব্যবসা ঃ আটক ৩।।

পুলিশের দৈনন্দিন কাজের একটি হচ্ছে মাদক নির্মূল করা। সেই পুলিশ সদস্যরাই যদি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তা হলে বলার আর কিছুই থাকে না। এমন ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীতে। সেখানে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্য ও অটোরিকশা চালককে ৯৫৪ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও র‌্যাবের যৌথ টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে নগরীর গুড়িপাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন_ কনস্টেবল সিদ্দিকুল ইসলাম (১৪৪৩), লালন মাহমুদ (১২৩৫) ও আবদুস সামাদ (১১৮৩)
এবং অটোরিকশা চালক সাইফুল ইসলাম। গ্রেফতারের পর তিন পুলিশ সদস্যকে ছাড়াতে ভোর পর্যন্ত তদবির করেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রোকনুজ্জামান ও পরিদর্শক তোফাজ্জেল খান।
যেভাবে গ্রেফতার : রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর '' সার্কেলের পরিদর্শক ভূপতি কুমার বর্মণ জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স সদস্যরা নগরীর গুড়িপাড়া এলাকায় অবস্থান নেন। রাত আড়াইটার দিকে একটি অটোরিকশা সেখানে আসে। ওই অটোরিকশায় তারা তিন যাত্রী দেখতে পান। এ সময় অটোরিকশার ভেতরে বস্তা দেখতে পেয়ে তারা তল্লাশি করেন। তল্লাশি চালিয়ে ওই বস্তাগুলোতে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল দেখতে পান। পরে র‌্যাব সদস্যরা অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী ও চালককে আটক করেন। ফেনসিডিলসহ গ্রেফতারের পর আটক ব্যক্তিরা নিজেদের নগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। ভূপতি কুমার আরও জানান, আটক পুলিশ সদস্যরা দাবি করেছেন, তারা নিজেরাই অভিযান চালিয়ে ওই মাদক উদ্ধার করেছেন। অথচ থানার আদেশনামা বা জব্দ তালিকা তারা দেখাতে পারেননি। তখন বাহিনীর নিজস্ব পোশাকেও তারা ছিলেন না। চারঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী টাঙ্গন এলাকা থেকে ওই চালানটি নিয়ে আসা হচ্ছিল।
সকালে নগরীর রাজপাড়া থানায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের তিন কনস্টেবলসহ চারজনকে আসামি করে মামলা করেন ভূপতি কুমার বর্মণ। মামলার আলামত হিসেবে উদ্ধার হওয়া ফেনসিডিলগুলো থানায় জমা দেন তিনি। মামলার পর পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।
নগর পুলিশের তদবির : ফেনসিডিলসহ নগর গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের ছাড়াতে নগরীর ভেড়িপাড়ার মোড়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কার্যালয়ে ছুটে যান নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রোকনুজ্জামান ও পরিদর্শক তোফাজ্জেল খান। এ সময় সেখানে বসে একটি ফাঁকা সিসিতে (কমান্ড সার্টিফিকেট) গ্রেফতারকৃতদের নাম লিখে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযানের দায়িত্বে ছিল বলে চালানোর চেষ্টা করেন তোফাজ্জেল খান। তবে সিসিতে লেখা শুরু করার সময় তা কেড়ে নেন ভূপতি কুমার বর্মণ। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাবের উপস্থিতিতে নগর পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তার সঙ্গে ভূপতি কুমার বর্মণের বাকবিত া হয়। এক পর্যায়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিদর্শক তোফাজ্জেল খানকে সেখান থেকে বের করে দেন। ভোর পর্যন্ত তদবির করে ছাড়াতে না পেরে তারা চলে যান। এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার রোকনুজ্জামান কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে তারা জানতে পেরেছেন দীর্ঘদিন পুলিশের ওই তিন সদস্য ফেনসিডিলের ব্যবসা করে আসছিলেন। নগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তারা ফেনসিডিল সরবরাহ করে থাকেন।
এদিকে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার হওয়ার পর নগর পুলিশের তিন সদস্যকে গতকাল চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নগর পুলিশের কমিশনার এম. ওবাইদুল্লাহ এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, যারা অপরাধ করবে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলমগীর কবির বলেন, ওই পুলিশ সদস্যরা মাদক চোরাচালান করছে_ এমন তথ্য পেয়েই অভিযান চালানো হয়। এ ব্যাপারে রাজপাড়া থানায় মাদক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ওই চার জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিআইজি অফিসের এএসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে
এদিকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশের সিকিউরিটি সেল। গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মাদক ব্যবসায়ীদের সহায়তার অভিযোগে তাকে ঈশ্বরদী থানা থেকে রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি সিদ্দিকুর রহমান তার বিরুদ্ধে তদন্তের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আরও যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী অভিযানে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করায় ৫ পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়। ২ ফেব্রুয়ারি তাদের ক্লোজ করা হয়। মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত পুলিশ সদস্যরা ছিলেন তৎকালীন পাবনার ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত), নাটোরের লালপুর থানার ওসি, ঠাকুরগাঁওয়ের সদর থানার ওসি (তদন্ত), রংপুর আদালতের ওসি ও নাটোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক আবদুল হান্নান ও ঈশ্বরদী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মামুনুর রশিদ।
রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে তাদের ক্লোজ করার পর বিভাগীয় মামলা করা হয়। এরপর পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে শুনানি শেষে অন্যরা বিভিন্ন জেলায় বদলি পেলেও এএসআই মামুনুর রশিদকে এখনও ডিআইজি অফিসে ক্লোজ করে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার তদন্ত চলার পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগটিও তদন্ত করা হচ্ছে।
courtesy : http://www.samakal.com.bd/details.php?news=13&action=main&option=single&news_id=240742&pub_no=980