August 27, 2011

india parliament under pressure to end corruption stand-off

India's parliament prepared for a special session on Saturday to debate anti-corruption proposals demanded by a self-styled Gandhian activist whose 12-day hunger strike has gained the support of millions and forced the hand of Prime Minister Manmohan Singh's besieged government.

The campaign by 74-year-old Anna Hazare has struck a chord with millions of Indians tired of endemic corruption, sparking nationwide protests and exposing the ruling Congress party as out-of-touch with voters and bereft of political capital.

Lawmakers across party lines have pleaded with Hazare to end a fast that has seen tens of thousands flock to his protest site in the capital and paralyzed a chamber slated to debate important economic reforms and tackle high inflation.

Parliament will debate Hazare's demand to create an anti-corruption agency from 11:00 a.m. (1:30 a.m. EDT), but disagreements over the scope of its power mean a resolution that would see the activist end his fast may be unlikely as worries over his health grow.

India's lower chamber is under intense pressure to reach a consensus on his demands, which include bringing civil servants under the bill's ambit, ensuring similar agencies at a state level and the creation of a citizen's charter.

"I have a fervent hope that he does (cease his fast today). We have scheduled discussions today as a special day," parliamentary affairs minister Pawan Bansal told CNN-IBN.

"The concerns are being addressed ... (but) every law to be made has to be made in the parliament."

"It's the twelfth day of my fast, but I've been noticing that night and day all of you are supporting me here for the Janlokpal bill, and the entire nation have stood up for this cause," Hazare, visibly weak, told thousands of supporters from a stage in the center of New Delhi.

A decision to hospitalize the activist, whose blood pressure has fallen and pulse rate has increased, would be taken this afternoon, his doctor told reporters on Saturday.

The ruling Congress party is increasingly desperate to end a crisis that has tarnished the reputation of Singh, with a bellwether election in India's biggest state this year and a general election in 2014 to fight.

Singh and other senior ministers, taken by surprise by the scale of the public unrest, have abandoned a hardline approach to Hazare and in recent days have scrambled to appease the activist, who has lost over 7 kg (15.4 lbs) and appears increasingly frail.

Congress, seen by many in an increasingly youthful India as an aged party either incapable of or indifferent to tackling graft, wants a swift resolution as Hazare's diminishing health could force authorities to force-feed him, a move that would make them appear even more disconnected from public opinion.

"We are all aware that corruption is pervasive. It operates at every level," Congress party scion Rahul Gandhi told parliament on Friday.

"In the last few months, Anna has helped the people to articulate this same sentiment (against corruption). I thank him for that."

But Hazare, who has stressed his intent to die in order to create an umbrella agency to investigate graft throughout politics, has come under growing criticism from some quarters that he is holding an elected parliament hostage.

Several scandals linked to the government, including a bribery scam involving the sale of telecom spectrum that may have cost the state up to $39 billion in lost revenues, led to Hazare's latest protest.

August 23, 2011

দুর্নীতির তথ্য দিতে শিক্ষাভবনে অভিযোগ-বাক্স

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে শিক্ষা ভবনে একটি অভিযোগ বাক্স বসানো হয়েছে।

মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নির্দেশে এ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। তালাবদ্ধ বাক্সটির চাবি মন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।


অভিযোগ বাক্সটি শিক্ষাভবনের মূল ফটকের কলাপসিবল গেইটের বাম পাশে স্থাপন করা হয়েছে।


বিবরণীতে বলা হয়, ওই বাক্সে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন যে কোনো অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ ফেলা যাবে।


অভিযোগগুলো সংগ্রহ করার পর শিক্ষামন্ত্রী যাচাই-বাছাই করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।


শিক্ষাভবনে গত ১৯ অগাস্ট এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাভবনকে দুর্নীতিমুক্ত করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, "শিক্ষাভবনে কোন অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ ও শিক্ষক ভোগান্তিকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকতে পারবে না।"


এর দুদিন আগে ঘুষ দাবি করা শিক্ষা ভবনের এক কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে ওই কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।

দশ বছর ধরে অনশন: আন্নার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ ইরোম শর্মিলার

গুজরাট: মনিপুরেরলৌহ মানবিখ্যাত ইরোম শর্মিলা চানু গান্ধিপন্থী দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরণ অনশন করার জন্য মঙ্গলবার আন্না হাজারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন

বিতর্কিত আর্মড ফোর্সেস (বিশেষ ক্ষমতা) আইন বাতিল করার জন্য শরমিলা দশ বছর ধরে অনশন করছেন তিনি আন্না হাজারের অনশন সমর্থন করে তাকে একটি পত্র লিখেছেন

শর্মিলাকে বর্তমানে ভারতের ইমফলে জওহরলাল নেহেরু হাসপাতালের নিরাপত্তা ওয়ার্ডে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে সেখানে তাকে নাকের মাধ্যমে জোর করে খাওয়ানো হচ্ছে

২০০০ সালের নভেম্বর আসামের ইমফল বিমান বন্দরের নিকটবর্তী মালম গ্রামে সামরিক বাহিনী (রাইফেল) কর্তৃক দশ ব্যক্তি নিহত হয় ঘটনার তিন দিন পর বিতর্কিত সামরিক আইন (বিশেষ ক্ষমতা) বাতিলের দাবিতে শর্মিলা অনশন শুরু করেন

আইনের মাধ্যমে সামরিক বাহিনীকে লাগামহীন ক্ষমতা দেওয়া হয় এমনকি কোনো ব্যক্তিকে সামান্যতম সন্দেহ হলে তাকে গুলি করার ক্ষমতা দেওয়া হয় আইনে

লোকপাল বিল পাসের জন্য আন্নার সমর্থকরা শর্মিলাকে অনশনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাতে আসলে তিনি তাদের সমর্থন দেন সময় তিনি আন্নাকে একটি পত্র লেখেন

মানবাধিকার কর্মী এবং শর্মিলার সহযোগী বাবলু লইটংবাম মঙ্গলবার টিওআইকে বলেন, পুলিশী হেফাজতে থাকাকালীন আন্না হাজারের নিমন্ত্রণ পেয়ে শর্মিলা তাকে পত্র লেখেন

তার পত্রের উদ্দৃতি দিয়ে বাবলু বলেন, পুলিশী হেফাজতে থাকায় তিনি আন্নার অনশনে যোগ দিতে পারবে না কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্নার যুদ্ধে তিনি সংহতি প্রকাশ করেছেন

পত্রে শর্মিলা লিখেছেন, মনিপুরে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি বিস্তার করেছে যা এখানের সকল সমস্যার মূল কারণ তিনি পত্রে আন্নাকে মনিপুরে আসার আহ্বান জানান

August 21, 2011

রাজশাহীতে পুলিশের ডাকাতি: এসিসহ ৮ জন সাসপেন্ড

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে দুজন সাব ইন্সপেক্টর ও ৫ কনস্টেবল এক চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতি করেছে। ওই বাড়ি থেকে তারা এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশের ওই এসিসহ ৮ পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশে (আরএমপি) ব্যাপক তোলাপাড় শুরু হয়েছে। 

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পুলিশের শীর্ষ মহল গভীর রাত পর্যন্ত তৎপরতা চালালেও রাত ২টার দিকে তাদের সাসপেন্ড করার কথা জানান, উপ-কমিশনার (সদর) মোর্শেদুল আনোয়ার খান। খোদ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 


অভিযোগে জানা গেছে, আরএমপি সহকারী কমিশনার সদর তৌফিক আহম্মেদ ও রাজপাড়া থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান নগরীর রাজপাড়া থানাধীন মিঠুরমোড় এলাকার ডা. রফিক বসুনিয়ার বাড়িতে গিয়ে অবৈধ রসুন আছে বলে তল্লাশি করে। এ সময় তারা অস্ত্রের মুখে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে নগদ একলাখ টাকা ছিনিয়ে আনে। এ ঘটনার পর বাড়ির মালিক ডা. এসআর বসুনিয়া তার শ্যালক ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ অফিসের স্টাফ অফিসার আব্দুস সবুরকে জানালে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে রাতভর চলে পুলিশের নানা নাটক। 


জানা গেছে, এ ঘটনার পর স্টাফ অফিসার আব্দুস সবুর বিষয়টি আরএমপি কমিশনার, উপ-কমিশনারসহ উপর মহলে জানান। রাত ৯টার দিকে তিনি রাজপাড়া থানায়ও আসেন। খোদ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এ ধরনের কাজে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এমন আশঙ্কায় পুলিশের একটি মহল বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালান। এমনকি বাদী যেন লিখিত অভিযোগ না দিতে পারে সেই চেষ্টাও চালানো হয়েছে।
একপর্যায়ে সাংবাদিরা জানলে তারা ঘটনাটি নিয়ে খোঁজ নেয়া শুরু করেন। পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সদর দফতরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছেন এমন খবরে সাংবাদিকরাও সেখানে ভিড় করেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে উপ-কমিশনার সদর মীমাংসার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। 


পুলিশের একটি মহল অভিযোগ করেছেন, যেখানে বাদী আসামিদের চিহ্নিত করেছেন সেখানে তাদের বাঁচানোর জন্যই সদর দফতরে বৈঠক করা হয়েছে। তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। 


এদিকে রাত ২টার দিকে উপ-কমিশনার মোর্শেদুল আনোয়ার খান সাত পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে এসি তৌফিক ইসলামকে এসি সদর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও রাজপাড়া থানার এসআই মতিউর রহমান, সাব ইন্সপেক্টর মাসুদ, কনস্টেবল মুর্তুজা, আতিকুর ও এসি তৌফিকের গাড়ির ড্রাইভার ও বডিগার্ডকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

August 18, 2011

এবার পাকিস্তানে আন্না হাজারে স্টাইলে অনশন ধর্মঘটের ঘোষণা

আন্না হাজারে স্টাইলে এবার পাকিস্তানে অনশন ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছেন এক পাকিস্তানি ব্যবসায়ী মানবাধিকার কর্মী তার নাম জাহাঙ্গীর আখতার তিনি ১২ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদে অনশন ধর্মঘট শুরু করবেন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আখতার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন আজ বৃহস্পতিবার দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে একথা বলা হয়

হাজারের প্রশংসা করে জাহাঙ্গীর বলেন, দুর্নীতি পাকিস্তানে একটি দুরারোগ্য ব্যাধি তিনি ভারতের লোকপাল বিলের মতো পাকিস্তানে অনুরূপ দুর্নীতি বিরোধী বিল পাসের দাবি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর বলেন, তিনি জাতীয় পরিষদে একটি দুর্নীতি বিরোধী বিল পাসের দাবি জানাচ্ছেন তিনি বলেন, ভারতীয় পার্লামেন্টে যে ধরনের বিল পাস হয়েছে, পাকিস্তান পার্লামেন্টেও অনুরূপ বিল পাস হওয়া উচিত জাহাঙ্গীর আরো বলেন, পাকিস্তানে ভারতের চেয়ে দুর্নীতি বেশি দেশের মানুষের স্বার্থে জাহাঙ্গীরের এটাই প্রথম অনশন নয় ইসলমাবাদের ব্যবসায়ীদের স্বার্থে তিনি ২২ দিনব্যাপী একটি অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন কিন্তু পুলিশ বাধা দেয়ায় তিনি তার কর্মসূচি শেষ করতে পারেননি দ্বিতীয় বার তিনি দিনের একটি অনশন ধর্মঘট শুরু করেছিলেন

August 17, 2011

কারাগার ত্যাগে আন্না হাজারের অস্বীকৃতি


ভারতের প্রখ্যাত সমাজ কর্মী আন্না হাজারে জেল ত্যাগে অস্বীকৃতি জানালে দিল্লির তিহার কারাগার কর্তৃপক্ষ তাকে একটি রুম বরাদ্দ দেয়। গত রাত তিনি কারাগারেই কাটিয়েছেন। কারাগারে তিনি অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। ৭৪ বছর বয়স্ক এ গান্ধীবাদী সমাজ কর্মী রাতারাতি তারকা খ্যাতি অর্জন করেছেন। গোটা ভারত জুড়ে তিনি হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। তিহার কারাগারের বাইরে তার অগণিত সমর্থক ভিড় জমিয়েছে। আরো অনেকে তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অনশন করার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে একথা বলা হয়। 
আন্না হাজারেকে নিয়ে কী করা যায় এ নিয়ে ভারত সরকার দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে। গতকাল তাকে গ্রেফতার করার ১২ ঘণ্টার মধ্যে জনতার ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার মুখে মুক্তি দেয়া হয়। তার সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। তবে আন্না ঘৃণাভরে তাকে মুক্তিদানের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সরকার একটি শক্তিশালী লোকপাল বিল পাসে তাকে নিঃশর্তে প্রতিবাদ চালিয়ে যাবার সুযোগ দিলে তিনি তিহার কারাগার থেকে বের হবেন। অন্যথায় কারাগারে অনশন করবেন।সরকার তাকে কারাগারে অবস্থান করার অনুমতি দিতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে সরকারকে জনগণের তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে হবে। আবার তাকে জয়প্রকাশ নারায়ণ পার্কে অনশন করার অনুমতিও দিতে পারে। এখন অনুমতি দেয়া হলে সরকারের পূর্ববর্তী অবস্থান অযৌক্তিক ও ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হবে। আন্নাকে গ্রেফতারে সরকারের সিদ্ধান্ত যথেষ্ট সুচিন্তিত বলে মনে হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ ভেবেছিল তাকে অনির্দিষ্টকাল অনশন চালিয়ে যাবার অনুমতি দেয়া হলে সরকারের জন্য বিরাট সমস্যা হবে। তাকে গ্রেফতার করে অনশন কর্মসূচি বাঞ্ছাল করে দেয়া হলে ছিঁটে ফোটা বিক্ষোভ হবে। তবে এত ব্যাপক বিক্ষোভ হবে এবং আন্নার সমর্থনে এভাবে হাজার হাজার মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে, সরকার তা কল্পনাও করতে পারেনি। দিলি্লতে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। আন্না হাজারের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ বুধবার দিলি্লতে অটো রিক্সা ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে হাজারের সমর্থক এখন শুধু মধ্যবিত্ত শ্রেণী নয়, সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীতেও তার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। দেশের সর্বত্র সমর্থকরা ভারতের জাতীয় পতাকা আন্দোলিত করে তার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছে। হাজারের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দেখে কংগ্রেসের অনেকের ভুল ভাঙ্গতে শুরু করেছে। দলের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী হাজারের সঙ্গে সংঘাতে না যেতে সরকারকে বারণ করছেন। শোনা গেছে, গতকাল তিনি প্রধানমন্ত্রী মনমেহান সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তার আগে তিনি দলের প্রবীণ নেতা অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম ও কমল নাথের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরম হাজারেকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী এ সমাজ কর্মী আইন অমান্য করে গ্রেফতারের যোগ্য অপরাধ করেছেন। 

August 13, 2011

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ: বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব টিআইবির


প্রধান বিচারপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ১২টি সংবিধিবদ্ধ কমিশনের স্বাধীনতা ও স্বশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়নের জন্য সরকারকে বিরোধী দল ও স্পিকারের সমন্বয়ে একটি বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইনটারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবিধানিক সংবিধিবদ্ধ কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রেক্ষাপট ও প্রস্তাবনা-শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ প্রস্তাব করে টিআইবি।
টিআইবির নির্বাহি কর্মকর্তা ড. ইফতেখারুজ্জামানের পরিচালনায় এবং টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল উপস্থাপিত কার্যপত্রকে একটি সহায়ক গাইডলাইন হিসেবে উল্ল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা হ্রাস এবং বিভিন্ন কমিশন প্রধানদের নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রী কি পরামর্শ দিলেন তথ্য কমিশনের মাধ্যমে জনগণকে তা জানানোর সুপারিশ করা হয়। 
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বাছাই কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেবল একটি নাম সুপারিশ করবে এবং নিয়োগগুলো অবশ্যই নির্দলীয় হতে হবে। সেইসাথে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় প্রধানকে বাছাই কমিটির সভায় উপস্থিত থাকার কথা সুপারিশে উল্লেখ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. সালাহউদ্দিন এম আমিনুজ্জামান সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ কমিশনগুলোকে রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সংসদীয় বিশেষ কমিটিতে সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যদের ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে এ ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্ত করার উপর জোর দিয়ে তিনি কমিশনগুলোর প্রতি জনগণের অনাস্থার বিষয়টি প্রচারণার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
ব্রাক ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের পরিচালক ড. শাহ্দীন মালিক তার বক্তব্যে বাছাই কমিটির সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে এবং প্রাথমিক বাছাই শেষে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করার মাধ্যমে জনগণের মতামত গ্রহণ করার কথা বলেন। সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের দায়িত্ব যে নির্বাহি বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত নয় সেটি তাদেরকে বুঝতে হবে।
সাংবাদিক এবিএম মুসা বলেন, বাছাই কমিটি- সরকার, রাষ্ট্রপতি যাই বলা হোক না কেন সকল নিয়োগ দেয়া হয় একক সিদ্ধান্তে। এই নিয়োগগুলো জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি না তা দেখতে হবে। এ বিষয়ে জনমত গড়ে তোলার উপর জোর দেন তিনি।
বাংলাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহি পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কমিশনগুলোর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ তথা ক্ষমতাসীন সরকারের প্রভাব বিস্তারের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক ও সহজাত কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তিনি বলেন, সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যতখানি কার্যকর দেখতে চায় এ প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক ততখানিই কার্যকর হবে। একই সাথে কমিশনগুলোর কর্ণধারদের পেশাগত যোগ্যতা, উৎকর্ষ, দলীয় ও সরকারি প্রভাবের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে এবং ভয় ও করুণার মুখাপেক্ষী না হয়ে বস্তুনিষ্ঠতার সাথে দায়িত্ব পালনের উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
টিআইবির কর্মকর্তা শাম্মী লায়লা ইসলাম উপস্থাপিত কার্যপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশের বিদ্যমান কমিশনগুলোর নিরপেক্ষতা এবং কার্যকারিতাকে রাজনৈতিক ও সরকারি প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য কমিশন সংশ্লিষ্ট আইনে বর্ণিত নিয়োগ সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন, সংযোজন ও পরিবর্তন করা একান্ত প্রয়োজন।
বাংলাদেশের বিদ্যমান কমিশন নিয়োগের প্রেক্ষাপট, প্রচলিত আইনের সীমাবদ্ধতা বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন দেশের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে কার্যপত্রে বলা হয়, জাতীয় সংসদের সরকার ও বিরোধীদলের সমান সংখ্যক সদস্য ও স্পিকারের সমন্বয়ে ৫_৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠন করতে হবে। এই সংসদীয় কমিটি প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করবে এবং তাদের প্রদত্ত তালিকা প্রাপ্তির পর সংসদীয় কমিটি পুনরায় সকল তথ্য যাচাই ও পুনঃতদন্তের পর গণশুনানির আয়োজনপূর্বক সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অভিমত অনুসারে যোগ্য প্রার্থীর সংক্ষিপ্ত তালিকা অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির বরাবরে প্রেরণ করবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাহি বিভাগের পরামর্শ ব্যতিরেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
১৪টি কমিশনের মধ্যে আলোচ্য কার্যপত্রে ৫টি কমিশনের (নির্বাচন কমিশন, সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশন) নিয়োগ সংক্রান্ত আইন পর্যালোচনা করে টিআইবি'র পক্ষ থেকে ১০ দফা সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধনী আনতে হবে।
ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কার্যপত্রে উল্ল্লেখ করা হয় বাংলাদেশেও একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, দলনিরপেক্ষ এবং সর্বজনগ্রাহ্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রবর্তন করা প্রয়োজন।

August 10, 2011

দুর্নীতি প্রতিরোধে অপরাধী সেল গঠনের আহবান টিআইবি'র


ঢাবি, ১০ আগস্ট (শীর্ষ নিউজ ডটকম): ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ'র নির্বাহি পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, অপরাধ নির্মূলে আইনের পাশাপাশি নৈতিক আচরণ বিধি প্রণীত হওয়া দরকার। তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধে অপরাধী সেল গঠনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। 

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ আহবান জানান।সমাবেশে ঢাবির উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ ও ভাল কাজের সাথে একমত হওয়ার শক্তি কেবলমাত্র তরুণদেরই আছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করাই হচ্ছে তরুণদের কাজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবি'র প্রোগ্রাম ম্যানেজার নিতি আমেনাসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

personal experiences of police corruption


In Latin America police corruption is endemic. According to figures released in the TI Global Corruption Barometer 2010, two out of every ten Latin-Americans interviewed had paid a bribe in the previous 12 months.
So it comes as little surprise that two colleagues who work in the Transparency International Secretariat have confronted situations of this kind. What follows are two anecdotes from among the thousands or millions of cases involving police corruption that happen annually in the region. Lea este artículo en español aquí.
Alejandro Salas, Americas Director – Mexico
I still remember an exchange with a traffic officer one afternoon when I lived in Mexico City some years ago, when I accidentally drove through a red light. The conversation went something like this:
Traffic Officer: “Son, you’ve run a red light. What happened, didn’t you notice? You can’t drive like that, can’t you see you’re putting your own and others’ lives at risk?”
Me: “Yes, I’m sorry officer, I thought it was yellow, but if you say it was red, well I committed an offence.”
TO: “Now you have a problem. I am going to have to fine you, and you already know how tricky that is; you will have to come with me to the station, I will have to take your car to the pound, and you’ll pay the fine, which is very expensive.”
Me: “Well, I committed the offence; I’ll have to pay the fine.”
T.O: “But don’t worry son, we can sort this out much faster and easier, and it will even be cheaper for you, if you just give me the money.”
Me “But if I ran a red light and then I pay the fine, I’ll make sure I never do it again.”
T.O: But son, can’t you see that it will waste more time and end up more expensive for you? Sort it out with me and I’ll give you a discount.”
Me: “That’s okay, just fine me please and we’ll leave it there.”
T.O: “I insist son, it’s really not worth it for you. Better that I do you a favour and we sort it out between us.”
Me: “I really appreciate that officer, it’s very kind of you, but please just fine me”
-          after ten minutes discussion –
T.O “Right son, I’m not going to carry on with this any longer, on you go.”
ME: “But you’re not going to fine me? I committed an offence and I deserve it.”
T.O: “No, son, I like you, and we’ve already wasted a lot of time. Go ahead, and drive safe.”
Luciana Torchiaro, volunteer working on security and transparency – Argentina
I was 6 years old and I remember that we were going on vacation with my aunt’s boyfriend at that time, driving towards Mar Azul, a beach in the province of Buenos Aires. The police stopped us for allegedly exceeding the speed limit – difficult to prove as in the early eighties the use of speed cameras was not common – and the officer wanted to give us a fine.
The driver was convinced that we hadn’t gone over the speed limit and started to argue with the police officer, who after a few minutes suggested that the matter could be solved easily to the benefit of everyone involved. In other words, the policeman proposed to overlook the infraction in exchange for money. The driver refused to accept the deal, as he was sure that he had not committed any offence. Moreover, in Argentina it is well known that during the month of January (which is summer in Argentina), police officers make the most of the high season to obtain “unofficial bonuses” to supplement their salaries on the route that runs from the capital city to the Atlantic coast.
After some debate, my aunt’s boyfriend, who was not quite as honest as the example we have seen from Mexico, and after the insistence of the officer, proposed a solution to the issue, saying, “What if I give you t-shirts from my business (he was a clothes manufacturer) for you and your families?”. I remember how the officers’ eyes lit up; he was fascinated by the proposal.
They accepted the deal, and we continued along our route, not only as if nothing had happened, but with a smile for our successful negotiation. Now that I think back on the scene it seems pathetic.
***
Acts of petty corruption, the daily abuse of power by low and mid-ranking police officers when interacting with common citizens, as described in these examples, can at first seem to be simple and trivial acts.
A citizen could think “If I give eight dollars to a police officer to get out of this situation, I’m not hurting anybody”. However, the multiplication of this kind of conduct, by those police officers who propose or accept bribes from citizens seeking to obtain some benefit or avoid the law, in the long run has a high impact on the institution and the rule of law.
When a police officer commits an act of this kind, not only is he failing to uphold the law, he is executing an illicit and unethical act, and in doing so, actively violating the rules and laws in place.
by Alejandro Salas

August 8, 2011

এ কোন পুলিশ, এ কেমন পৈশাচিকতা!


‘মারি হালা। মারি হালা। পুলিশ কইছে মারি হালাইবার লাই। তোরা মারছ্ না কা? (মেরে ফেল। মেরে ফেল। পুলিশ বলেছে মেরে ফেলার জন্য। মারিস না কেন?)’
লোকজনের জটলা থেকে কেউ একজন এভাবে বলছেন, আর কিছু লোক কিশোর মিলনকে রাস্তার ওপর ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারছে। একজন লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটাচ্ছে। একপর্যায়ে এক যুবক ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। মিলনের মৃত্যু নিশ্চিত হলে পুলিশ তার লাশ গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
গত ২৭ জুলাই সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ঘটে এই অকল্পনীয় ঘটনা। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ১৬ বছরের কিশোরটিকে পুলিশের গাড়ি থেকে একজন নামিয়ে জনতার হাতে ছেড়ে দিচ্ছে। তারপর শুরু হয় কথিত গণপিটুনি। অবিশ্বাস্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটে পুলিশের উপস্থিতিতে।
কোম্পানীগঞ্জে ওই দিন ডাকাত সন্দেহে পৃথক স্থানে ছয়জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ দাবি করেছিল। এর মধ্যে টেকেরবাজার মোড়ে মারা হয় তিনজনকে। তাঁদেরই একজন এই কিশোর শামছুদ্দিন মিলন। মিলনকে মারা হয় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। আর বাকি দুজনকে মারা হয়েছিল ভোরবেলায়।
মিলনকে হত্যার অভিযোগ এনে তার মা বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ‘দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে’ গত শনিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার তিনজন পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন: উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আকরাম শেখ, কনস্টেবল আবদুর রহিম ও হেমারঞ্জন চাকমা।
মিলন কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে, তবে এসএসসি দেয়নি। সে চট্টগ্রামে একটি কোম্পানিতে কাজ করে। কয়েক দিন আগে সে বাড়ি এসেছিল। চার ভাইয়ের মধ্যে মিলন সবার বড়। তার বাবা বিদেশে থাকেন।
মিলনকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামানো, পিটিয়ে হত্যা এবং লাশ পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত পুরো ঘটনার ভিডিও চিত্র এখন কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্নজনের মুঠোফোনে পাওয়া যায়। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় গতকাল এর ভিডিও চিত্রের উল্লেখযোগ্য অংশ সম্পচারও করেছে।
ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, মারধরের একপর্যায়ে মিলন উঠে দৌড়ে পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিত কেউ তাকে বাঁচাতে ন্যূনতম চেষ্টাও করেনি। এ পর্যায়ে সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা একজন ইট নিয়ে সজোরে আঘাত করেন মিলনের মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে মিলন। একই লোক ইট দিয়ে এর পরও মিলনের মাথায় একাধিকবার আঘাত করেন। সঙ্গে আরও কয়েকজন এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মিলনের লাশ পুলিশ গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পুরো ঘটনার সময় পুলিশের সদস্যরা গাড়ি নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
মিলনের মা কোহিনুর বেগম তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে গত বুধবার আদালতে মামলা করেছেন। মামলার আরজিতে মিলনকে আটক করে মারধর এবং পুলিশের হাতে সোপর্দ করা পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান ওরফে মানিক ও চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জামাল উদ্দিন সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।
কোহিনুর বেগম উল্লেখ করেন, গত ২৭ জুলাই সকালে মিলন জমি নিবন্ধনের কাজের জন্য বাড়ি থেকে ১৪ হাজার টাকা নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে যায়। পথে সে চরকাঁকড়া বেপারী উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ুয়া দূর-সম্পর্কের এক খালাতো বোনের সঙ্গে কথা বলতে বিদ্যালয়ের মসজিদের পুকুরঘাটে বসে অপেক্ষা করছিল। এ সময় মানিক নামের স্থানীয় একজন মিলনকে সেখানে বসে থাকার কারণ জানতে চান।
একপর্যায়ে সেখানে আসেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন। তিনিও মিলনকে সেখানে বসে থাকার কারণ জানতে চান। কারণ জানালে জামাল উদ্দিন ওই মেয়েটিকে বিদ্যালয় থেকে ডেকে এনে মিলনের পরিচয় নিশ্চিত হন। কিন্তু এরপর মানিক ও জামালসহ উপস্থিত লোকজন মিলনকে চড়-থাপড় দিয়ে তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় এবং মিলনকে পুলিশে সোপর্দ করে।
কোহিনুর বেগমের অভিযোগ, পুলিশ আহতাবস্থায় মিলনকে হাসপাতাল বা থানায় না নিয়ে টেকেরবাজার এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় লোকজন মিলনকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে মিলনের লাশ থানায় নিয়ে যায়।
যোগাযোগ করা হলে ইউপি সদস্য জামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘লোকজন ডাকাত সন্দেহে ছেলেটিকে মারধর শুরু করে। আমি তাকে উদ্ধার করে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। ওই ছেলে নিজেই হেঁটে পুলিশের গাড়িতে উঠেছে। এরপর শুনেছি, তিন রাস্তার মোড়ে লোকজন পুলিশের কাছ থেকে ছেলেটিকে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে জামাল বলেন, ‘আমরা তার কাছে যা কিছু পেয়েছি, তা দারোগা আকরামকে দিয়েছি। আমরা তো তাকে (মিলন) মেরে ফেলার জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেইনি। পুলিশের কাজ তো কাউকে মেরে ফেলা না। কিন্তু তারা যদি কাউকে মৃত্যুর মুখে ফেলে দেয়, তাহলে কার কী করার আছে।’
পারিবারিক সূত্র জানায়, ওই সময় মিলন কিছু লোক তাকে আটক করেছে বলে মোবাইল ফোনে মাকে জানায়। তার মা মিলনের এক চাচাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারেন তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক উল্লাহ গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান, মিলনকে ডাকাত সন্দেহেই লোকজন পিটিয়ে মেরেছে। তিনি বলেন, আদালতে করা তার মায়ের মামলার কপি এখনো থানায় আসেনি।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন-উর-রশিদ হাযারী গতকাল রোববার দুপুরে জানান, এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব রশীদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসপি হারুন-উর-রশিদ হাযারী গতকাল মিলনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চরফকিরায় মিলনের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্য এবং ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন। পরে এসপি হারুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিলন অপরাধী কি না, তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। আমরা সব বিষয় খতিয়ে দেখছি।’
স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় স্থানীয়ভাবে অপরিচিত কয়েকজন ব্যক্তি মিলনকে নানাভাবে ডাকাত হিসেবে চিহ্নিত করতে তৎপর ছিল।

Source: www.prothom-alo.com/detail/date/2011-08-08/news/176504

August 6, 2011

noodles, cartoons and maps: serious anti-corruption solutions from Russia

By Robin Hodess, Knowledge & Research Director at Transparency International

Visiting Russia is bound to be an interesting experience for an American who lived through the Cold War. And this past week, my first trip to Moscow, has not disappointed. From the thrill of Red Square and the city’s varied architecture to the surprise – to me – appearance of countless soldiers and tanks gathered in preparation for the annual World War Two Victory in Europe parade, Moscow unfolds in layers. The work of TI Russia is not dissimilar – with its work approach reflecting the myriad complexities and opportunities that characterize Russia today.
Russia has a reputation for many things, from star athletes to oil magnates, and this applies to perceptions of corruption as well. When I meet diplomats, business people, journalists in Moscow, the first thing they ask me is: Why is there so much corruption in Russia? How do you fight it? Indeed, where do you begin?
This is a task that TI Russia takes on with smarts, the enthusiasm of youth, creative problem-solving and a lot of guts. Not least their work requires a sense of humour.
This summer, the chapter will offer a summer school; its acronym is the Russian word for noodles (ЛАПША (Лаборатория Антикоррупционной Политики – Школа Антикоррупции). The noodles name is a source of fun for the chapter, and this levity makes a hard task easier for the 40 or so staff of TI Russia, who are spread across four offices in this enormous country. For Elena Panfilova, Director of TI Russia, this most human of elements adds to the sense of mission that motivates the team in the face of massive obstacles.
A sense of humour doesn’t mean the work isn’t serious, however. A year ago, TI Russia set up an anti-corruption laboratory at the Higher School of Economics, Russia’s premier university for studying economics. The laboratory students have created a database of all asset declarations made by the 450 or so Russian MPs, a requirement since legislation was adopted in 2007 whose results have neither been verified nor published systematically by the government. Via its research, the lab has exposed dozens of cases of unexplained wealth among the political classes, which is just the tip of the illicit enrichment iceberg. According to TI Russia, there is no coincidence that the only aspect of the UN Convention against Corruption that the Russian government has yet to ratify is Article 20, which criminalizes illicit enrichment by public officials. Indeed, the chapter has started a campaign around this issue.
TI Russia also uses a network of young activists to promote anti-corruption efforts using social media, such as online maps of alleged corruption around the city of Vladimir, west of Moscow
Similar innovative campaigning promoting a cartoon online helped the chapter get important amendments made to a recent police law: Russian police, viewed as the most corrupt institution, must wear a badge to identify themselves, and every citizen is entitled to a telephone call if arrested.

TI Russia entered their “Real Policeman” cartoon into a national social advertising contest. The arrows are characteristics such as “is nice and polite” “wears a badge”, “does not take bribes”, as well as a phone number to report corruption

In a country where journalists and lawyers have lost their lives investigating corruption, including the famous case of Sergei Magnitsky that remains prominent in the public eye but unresolved, TI Russia walks a fine line every day.
By interacting with a vast network of like-minded activists and scholars, TI Russia believes it has the public on its side. This gives them space to operate – and a voice that is heard.